মাত্র ৩ টাকায় মিলছে গুলাবজামুন, লালমোহন। বিষয়টি শুনতে অবাক লাগলেও এমনটাই বিকোচ্ছে পুরাতন মালদার চারু শেঠের ঐতিহ্যবাহী মেলাতে। আর এই মিষ্টি কিনতেই অসংখ্য মানুষ প্রতিদিনই ভিড় করছেন পুরাতন মালদার ওই মেলায়। যদিও পিস হিসেবে নয় অধিকাংশ বিক্রেতারাই কেজি হিসাবে গুলাবজামুন , লালমোহন বিক্রি করে থাকেন। কিন্তু কেউ যদি এক থেকে দুই পিস চেখে দেখার শখ রাখেন, তা অবশ্য ৩ টাকা দরেই বিক্রি করা হচ্ছে। আবার কেজি দরে নিলে তার মূল্য ২০০ টাকা।
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বাজারে যেখানে ছানা এবং মিষ্টি তৈরির নানান উপকরণের দাম অনেকটাই বেড়েছে। অধিকাংশ মিষ্টির দোকানেই ন্যূনতম দশ টাকার নিচে পিস হিসাবে কোনও মিষ্টি মিলে না। সেখানে পুরাতন মালদায় চারু শেঠের মেলায় এত সস্তায় মিষ্টি বিক্রি হওয়ায় হাসি ফুটেছে খাদ্য রসিক মানুষদের মধ্যে।
উল্লেখ্য, প্রতিবছর দীপাবলীর প্রাক্কালে পুরাতন মালদা ব্লকের নবাবগঞ্জ এলাকায় ঐতিহ্যবাহী কাঠের মেলা বসে। যা চারু শেঠের মেলা নামে পরিচিত। আর সেই মেলাতেই রয়েছে রকমারি মিষ্টির দোকান। যেখানে এত সস্তায় মিষ্টি বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন- খুদে কন্যার আশ্চর্য্য কীর্তি! মুঠোয় ‘ভারতসেরা’র শিরোপা, বেনজির সাফল্যে বাংলার মুখ উজ্বল
মিষ্টি বিক্রেতা জাহিরুল শেখ, অশোক হালদারদের বক্তব্য, 'গুলাবজামুন, লালমোহন তিন টাকা পিস হিসাবে আমরা বিক্রি করছি। পরিমাণ বেশি হলে বিক্রিটাও বেড়েছে। তার থেকে লাভের অংশটা কিছুটা হলেও উঠে আসছে। বেশিরভাগ মানুষ কেজি হিসেবে মিষ্টি কিনে থাকেন। তাই ২০০ টাকা কেজি দরে এই লাল মিষ্টি বিক্রি করা হচ্ছে। তাতে আমাদের কোন লোকসান নেই।' তবে, মিষ্টির সাইজ একটু ছোট। তবে সাধারণত বিভিন্ন বাজার, দোকানে এই ধরনের মিষ্টি এক কম দরে পাওয়া দায়। তাই মেলা চলাকালীন তিন টাকা পিস হিসাবে মিষ্টি খেতেই বহু মানুষ ভিড় করছেন।
মালদার মিষ্টির জনপ্রিয়তা দীর্ঘদিন ধরেই রয়েছে। এই মেলায় লালমোহন, গুলাবজামুনের সঙ্গে অন্যান্য মিষ্টির স্বাদে গুণে কোনও তফাৎ নেই। বরঞ্চ এই মিষ্টির স্বাদ নাকি অনেকটাই ভালো বলে দাবি করছেন বহু ক্রেতা।
চারু শেঠের মেলা কাঠের আসবাবপত্রের জন্যই বিখ্যাত। সেখানেই অনেক মিষ্টির দোকান গড়ে উঠেছে। আর তাতেই তিন টাকা পিস হিসাবে বিক্রি হচ্ছে লালমোহন, গুলাবজামুন।
পুরাতন মালদা পুরসভার চেয়ারম্যান কার্তিক ঘোষ জানিয়েছেন, চারু শেঠের কাঠের মেলার বহু পুরনো। তার ঐতিহ্য রয়েছে। এই মেলাকে ঘিরে বিভিন্ন ধরনের মিষ্টির দোকান রয়েছে। সেখানেই অনেক সস্তায় মিষ্টি খেতে ভীড় করছেন ক্রেতারা। সুষ্ঠুভাবে মেলা পরিচালনার ক্ষেত্রেও প্রশাসন সহযোগিতা করেছে।