গরু নিন, ঋণ দিন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন গরুর কুঁজে সোনা রয়েছে। আর তা শুনেই নাকি স্বর্ণ ঋণ নিতে ছুটছেন গরুর মালিকরা, এমনই খবর হুগলিতে।
হুগলির চণ্ডীতলা থানার গরলগাছা গ্রামের ঘটনা। ওই গ্রামের এক চাষী তাঁর একটা গরু আর বাছুর নিয়ে এদিন সোজা হাজির হয়ে গিয়েছেন বাড়ির এক কিলোমিটার দূরে কালিপুর এলাকায় স্বর্ণ ঋণ দেয় এমন একটি অফিসে। সটান সেই অফিসে এসে তিনি বলেন যে তিনি নেতাদের মুখে শুনেছেন, গরুর মধ্যে নাকি সোনা থাকে। তাহলে সেই গরু বন্ধক রেখে তাঁকে এবার স্বর্ণ ঋণ দেওয়া হোক। এ কথা শুনেই নাকি ওই অফিসের কর্মীরা অবাক হয়ে যান!
এদিকে, গরুর মালিক একেবারে নাছোড়বান্দা। তাঁর ঋণ চাই তো চাইই। তাঁকে বোঝানোই যেন দায়। এরপর কোনওক্রমে তাঁকে বোঝানো হয় যে এভাবে স্বর্ণ ঋণ দেওয়া সম্ভব নয়। অবশেষে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরে আসেন ওই কৃষক। তিনি বলেন, "আমার কুড়িটা গরু আছে। আমি ভেবেছিলাম দুটো গরু বন্ধক দিয়ে ঋণ নিয়ে আরও কিছু গরু কিনব।" কিন্তু তাঁর সাধ অপূর্ণই থেকে গেলো।
এই ঘটনাটি স্বীকার করে গরলগাছা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান মনোজ সিংহ বলেন, "সুশান্ত মণ্ডল নামে এক কৃষক আমাদের পঞ্চায়েত অফিসেও এসেছিল লোন নেওয়ার ব্যাপারে। সটান গরু নিয়ে হাজির হন তিনি। তাঁর ধারণা, পঞ্চায়েত থেকে তো অনেক লোন হয়, তাই গরু রেখেও বোধহয় লোন দেওয়া হচ্ছে । ও বলছে ফেসবুকে নাকি দেখেছে। আমি বুঝিয়েছি যে এভাবে গরু বন্ধক রেখে লোন হয় না। তারপর সে বলে তাহলে গোল্ড লোনের অফিসে যাচ্ছে। এ এক আচ্ছা ঝামেলায় পড়া গেছে, অনেক লোকই আসছে এভাবে।"