পাহাড়ি রাজনীতিতে ফের আশঙ্কার কালো মেঘ ঘনাচ্ছে! সোমবারই বিধানসভায় পাশ হয়েছে ‘বঙ্গভঙ্গ বিরোধী প্রস্তাব’। যার প্রতিবাদে মুখর পাহাড়ের জিটিএ বিরোধীরা। এর জেরেই আগামী বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩) অর্থাৎ মাধ্যমিক শুরুর দিনই দার্জিলিং ও কালিম্পং জুড়ে ১২ ঘন্টার বনধের ডাক দিয়েছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা ও হামরো পার্টি। পাশাপাশি ভাবনু ভবনে চলছে অনশন আন্দোলনও। ২৪ ঘন্টারঅনশনে বসেছেন জিটিএ বিরোধী গোষ্ঠী বলে পরিচিত তৃণমূল ত্যাগী বিনয় তামাং, হামরো পার্টির প্রতিষ্ঠাতা অজয় এডওয়ার্ড সহ জিটিএ-এর ৭ জন সদস্য। সমর্থন জানালেও অনশনে বসেননি গোর্খা নেতা বিমল গুরুং। বনধের বিরোধিতা করেছেন অনীত থাপা।
মাধ্যমিকের শুরুর দিনই বনধ ঘিরে ফের পাহাড় অশান্ত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে আজই উত্তরবঙ্গ সফরে রওনা দেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগেই জিটিএ বিরোধীদের পাহাড়ে বনধ কর্মসূচি ঘোষণায় বঙ্গ রাজনীতি উত্তপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শীত শেষে গ্রীষ্মের শুরুতেই এহেন বনধ কর্মসূচিতে ব্যবসারও ক্ষতি হতে পারে বলে প্রমাদ গুনছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
বিধানসভায় বঙ্গভঙ্গ বিরোধী প্রস্তাব পাশ আসলে গোর্খাদের অপমান বলে অভিযোগ বনধপন্থীদের। বিনয় তামাং বলেছেন, 'বঙ্গভঙ্গ বিরোধী প্রস্তাব বেআইনি। যেসব পাহাড়বাসী মনে করেন পৃথক রাজ্য প্রয়োজন তারা এই বনধকে সমর্থন করুন। তবে মাধ্যমিকের পরীক্ষার্থী ও পরীক্ষার সঙ্গে যুক্তদের আমরা বনধের আওতার বাইরে রাখছি।'
ইতিমধ্যেই বিজেপির কার্শিয়াংয়ের বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা ও দার্জিলিংয়ের বিজেপি বিধায়ক নীরজ জিম্বা পাহাড়কে নিয়ে পৃথক রাজ্যের দাবিতে সরব হয়েছেন। যদিও দলের ওই দুই বিধায়কের উল্টো সুর শোনা গিয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর মুখে।