Appointment Letter: তরুণদের আন্দোলনের মাঝেও তাজ্জব কাণ্ডে হুলস্থূল, পঁয়ষট্টিতেও প্রাথমিক শিক্ষক পদে বাজিমাত
Government Jobs Appointment letter: এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। অনেকে চাকরির সেই নিয়োগপত্র নিয়ে ছুটে গিয়েছেন উল্লিখিত ঠিকানাতেও। চাকরির দাবিতে কলকাতার রাজপথে দিনের পর দিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন বহু তরুণ-তরুণী। সরকারি চাকরির জন্য তাঁদের অনেকেরই প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা ও প্রশিক্ষণও রয়েছে। আদালতে হন্যে হয়ে ঘুরলেও এখনও চাকরির দাবিতে আন্দোলনের পর আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। চাকরির বয়স তাঁদেরও অনেকেরই পেরিয়ে গিয়েছে। তবে আন্দোলন তাঁরা এখনও জারি রেখেছেন। এই আবহে সরকারি চাকরির পূর্ণ মেয়াদ থেকে অবসরের পর প্রবীণদের হাতে সরকারি চাকরির নতুন নিয়োগপত্র যাওয়ার ঘটনার চর্চা তুমুলভাবে বেড়েছে।
Appointment Letter: সরকারি চাকরির এমন নিয়োগপত্র ঘিরে জোর চর্চা।
Government Jobs Appointment letter: অবাক করা ঘটনায় হুলস্থূল পড়ে গিয়েছে। এমনকী বিষয়টি নিয়ে খোদ সরকারি আধিকারিকরাও কার্যত মুখে কুলুপ এঁটেছেন। সম্প্রতি হুগলি (Hooghly) জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারপার্সন ৬৬ জনকে নিয়োগপত্র দিয়েছেন। এই নিয়োগপত্র ঘিরেই জোরদার চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে।
Advertisment
সম্প্রতি হুগলি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ যাঁদের চাকরির নিয়োগপত্র দিয়েছে তাঁদের সবারই বয়স ৬০ পেরিয়ে গিয়েছে। চারজনের মৃত্যুও হয়েছে। একদিকে যখন চাকরির দাবিতে রাস্তায় বসে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন এক ঝাঁক তরুণরা, তখন অবসরের বয়স পেরিয়ে যাওয়া প্রবীণদের হাতে এল চাকরির (Job) নিয়োগপত্র। এই বয়সে সরকারি চাকরির নিয়োগপত্র তাঁরা কীভাবে পেলেন তাও স্পষ্ট নয় প্রবীণদের অনেকের কাছেই।
সরকারি চাকরির নিয়োগপত্র হাতে নিয়ে এক ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি।
এদিকে নিয়োগপত্রে স্কুলের নাম উল্লেখ রয়েছে। তাই ধোঁয়াশা কাটাতে কেউ ছুটছেন সংশ্লিষ্ট স্কুলেও। আবার কেউ ছুটেছেন সার্কেল অফিসে। নিয়োগপত্র পেয়েছেন এমন একজন পাণ্ডুয়ার (Pandua) বাসিন্দা দীনবন্ধু ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, 'সে সময় বামফ্রন্ট সরকার ছিল। আমরা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ছিলাম। তবে আমরা চাকরি পাইনি। পরে প্যানেলও বাতিল হয়ে যায়। এখন শিক্ষা সংসদ থেকে নিয়োগপত্র পেয়েছি। কী করে এটা হল জানি না।'
ফুরফুরার ৬৫ বছরের তুষার বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'গতবছর আমার স্ত্রীর ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে। চাকরিটা আগে পেলে ভালো করে চিকিৎসা করাতে পারতাম। একমাত্র মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। আমি একাই থাকি। আমি বৃহস্পতিবার চুঁচুড়ায় জেলা প্রাথমিক বোর্ডে গিয়ে জয়েন করেছি। ৪০ বছর ধরে মামলা চলেছে।'
৭১ বছরের বৃদ্ধ অচিন্ত আদক বলেন, 'আমরা ১৯৮৩ সালে মামলা করেছিলাম। এখন চাকরি দিচ্ছে, কী করে দিল জানি না। ৬০ বছরে তো অবসর হয়, আর এই বয়সে কী করে চাকরি করব?' প্রবীণ ষাটোর্ধ্ব চাকরি-প্রাপকদের দাবি, নিয়োগপত্রে সই রয়েছে হুগলি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারপার্সন শিল্পা নন্দীর। বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হয়েছিল শিল্পা নন্দীর সঙ্গেও। তবে তিনি এব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটেছেন। চুপ শিক্ষা সংসদও।