Advertisment

সরকার চাইলেও লকডউনে ঘুরবে না বাসের চাকা

"কোনও যাত্রীর করোনা থাকলেও বোঝার উপায় নেই। আমরা চেয়ছিলাম অন্তত রেশনিং ভিত্তিতে সরকার ডিজেল সরবরাহ করুক। তাছাড়া বাস চালানো সম্ভব নয়।"

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

সরকারি ঘোষণার পরও রাজ্যের গ্রিন জোনে পথে নামল না বাস। সোমবার রাজ্যের গ্রিন জোনে বাস নামানোর কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু বেসরকারি বাস মালিকদের দাবি না মেটায় রাস্তায় বাস নামেনি। এমনকী আগামী দিনেও বাস নামার তেমন কোনও সম্ভাবনা নেই বলেই সংগঠনের কর্তাদের দাবি।

Advertisment

বাসে ২০ জন যাত্রী নিয়ে গ্রিন জোনের রাস্তায় বাস নামবে এমন ঘোষণা করেছিল রাজ্য। যাত্রীদের পড়তে হবে মাস্ক। বাস নিয়ম করে স্যানিটাইজ করতে হবে। বাঁকুড়া, বীরভূম, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও দুই দিনাজপুর, এই আটটি জেলাকে গ্রিন জোন হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু সোমবার পথে বাসের দেখা মেলেনি।

আরও পড়ুনঃ বাজার-শপিং মল ছাড়া সব দোকান খুলছে বাংলায়

বাসমালিকদের বক্তব্য, "কোনও পরিকাঠামো ছাড়া পথে বাস নামানো সম্ভব নয়। এবিষয়ে একাধিকবার কেন্দ্র ও রাজ্য় সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রীর কাছেও দাবি জানানো হয়েছে।" কোনও জবাব মেলেনি বলেই সংগঠনের কর্তাদের দাবি। জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্য়োপাধ্যায় বলেন, "একে তো ২০ জন যাত্রী নিয়ে চললে আর্থিক ভাবে চরম ক্ষতি হবে। তারওপর করোনা মোকাবিলায় আমাদের কোনও পরিকাঠামো নেই। না আছে পথে পথে থার্মাল টেষ্টিংয়ের ব্যবস্থাপনা। তাছাড়া বাস স্যানিটাইজ করার পরিকাঠামোও নেই। এছাড়া কোন যাত্রীর কোভিড-১৯ সংক্রমণ আছে কী নেই, তা কে বলতে পারে। আমরা চালক বা কন্ডাক্টরদের বিপদে ফেলত পারি না।"

অন্যান্য বাস সংগঠনের কর্তারাও জানিয়ে দিয়েছে, এই পরিস্থতিতে বাস নামানো সম্ভব নয়। বাসের ভাড়া বাড়িয়ে যাত্রীদের ওপর অত্য়াচারও করতে চায় না বাস মালিকরা। ওয়েস্ট বেঙ্গল বাস-মিনিবাস অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক প্রদীপ বসুর বক্তব্য, "কোনও যাত্রীর করোনা থাকলেও বোঝার উপায় নেই। আমরা চেয়ছিলাম অন্তত রেশনিং ভিত্তিতে সরকার ডিজেল সরবরাহ করুক। তাছাড়া বাস চালানো সম্ভব নয়।" বাসমালিকদের বক্তব্য, "সরকার নিজেদের বাস চালাতে পারে। তাদের তো পরিকাঠামো আছে।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

bus strike Lockdown
Advertisment