ছিন্নভিন্ন ভাঙড়ের পর শনিবার অশান্ত ক্যানিং ঘুরে দেখলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। বেশ কয়েকি এলাকা ঘুরে দেখার পর স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গেই বাক্যালাপ হয় রাজ্যপালের। পরে সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি। সেখানেই, বাংলায় রাজ্যপাল বলেন 'ছাড়ব না ছাড়ব না, হবে না হবে না।' তাঁর সাফ কথা, গণতন্ত্রে গুণ্ডাগিরির স্থান নেই। যে কোনও মূল্যে এর দমন করতে হবে। পঞ্চায়েতে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে হবে।
রাজ্যপাল এদিন বলেন, 'আমি সবটা দেখতে পারিনি। যে সব এলাকায় হিংসার ঘটনা ঘটেছে তার দু-একটা পকেট ঘুরে দেখেছি। স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি। যাঁরা হিংসার ঘটনায় আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের পরিবারের সঙ্গেও কথা বলেছি। আবার আক্রান্ত পুলিশ অফিসারদের সঙ্গেও কথা হয়েছে আমার। যা দেখেছি তাতে অমি স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছি। এ ধরণের গুণ্ডামি ও হিংসার ঘটনা কীভাবে ঘটে চলতে পারে।'
রাজ্যপাল যে শনিবারই হিংসাকবলিত ক্যানিং যাবেন তা আগে জানানো হয়নি। দুপুরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন। দেখা যায়, সুকান্ত মজুমদার রাজভবন ছাড়ার পরপরই রাজ্যপাল ক্যানিংয়ে যাওয়ার মনস্থির করেন। ক্যানিং সহ দক্ষিণ ২৪ পরগান বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বিজেপি প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দিতে তৃণমূল বাধা দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সুকান্ত মজুমদার।
নিজের ভূমিকার কতা বলতে গিয়ে রাজ্যপালের ব্যাখ্যা, 'আমি সংবিধানের প্রতি দায়বদ্ধ। সংবিধান যাঁরা দেশকে দিয়েছেন তাঁদের প্রতিও দায়বদ্ধ। কোথাও মানুষ পীড়িত বা আক্রান্ত হলে আমাকে হস্তক্ষেপ করতেই হবে। এটাই আমার সাংবিধানিক দায়বদ্ধতা।'
রাজ্যপালের পদক্ষেপ প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, 'কয়েকদিন আগে দেখেছি, রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিরোধী দলনেতা। তার পর থেকেই দেখছি রাজ্যপাল ছুটে চলেছেন। উনি বোধহয় শুভেন্দুকে ভয় পেয়েছেন। মালদায় শনিবার এক তৃণমূল কর্মী খুন হয়েছেন। কই রাজ্যপাল তো একবারও মালদা নিয়ে কোনও কথা বললেন না। আমরা রাজ্যপালকে শ্রদ্ধা করি। উনি ওনার সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করুন। রাজ্য সহযোগিতা করবে। তবে অনুরোধ মেরুদণ্ড সোজা রাখুন, বিজেপির কথায় চলবেন না।'