পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার পর থেকেই 'সক্রিয়' রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। যেখানে হিংসার খবর পেয়েছেন সেখানেই ছুটে গিয়েছেন। রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং কমিশনারকে সমালোচনায় ভরিয়ে দিয়েছেন। ভোটের দিনও এর অন্যথা হল না। শনিবার সাতসকালে পঞ্চায়েত নির্বূাচনে রাজ্যের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বেরিয়ে পড়েন সিভি আনন্দ বোস। রাজ্যপালের গাড়ির কনভয় কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়েতে উঠতেই বিপত্তি। ব্যারাকপুর এক নম্বর ব্লকের কাউগাছি এলাকায় রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের গাড়ি আটকায় সিপিএম, বিজেপি প্রার্থী ও কর্মীরা। তৃণমূল একাধিক জায়গায় দেদার ছাপ্পা ভোট দিচ্ছে বলে অভিযোগ তোলে বিরোধীরা। যা নজিরবিহীন।
Advertisment
নিজের গাড়িতে বলেই অভিযোগকারীদের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল বোস। সিপিএম ও বিজেপি প্রার্থীকে রাজভবনের পিস রুমের দু'টো নম্বর দেন রাজ্যপাল। সেখানেই বিস্তারিত অভিযোগ জানাতে বলেন তিনি। এরপর মিনিট ২০ সেখানে আটকে থাকার পর বাসুদেবপুরের পথে রওনা হন রাজ্যপাল। বাসুদেবপুর থেকে রাজ্যপালের গন্তব্য ছিল বারাসতের পীরগাছা।
এই কদম্বগাছিতে নির্দল প্রার্থীর সমর্থককে পিটিয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। আরও বেশ কয়েকজনকে ব্যাপক মারধরের অভিযোগ করা হচ্ছে। চূড়ান্ত ক্ষোভ ভোট শুরুর আগে তুমুল বিক্ষোভ বারাসতের কদম্বগাছিতে। বহিরাগতদের এনে হামলার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আতঙ্কে এলাকাছাড়া বহু তরুণ। পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যাপক ক্ষোভ বাসিন্দাদের। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ। অভিযোগ প্রার্থীর স্ত্রীকেও ফেলে মারা হয়েছে।
এই খবর পেয়ে পীরগাছায় আহত আবদুল্লার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। গাড়ি থেকে নেমে আবদুল্লার স্ত্রীর সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেছেন তিনি। এরপর সংবাদ মাধ্যমকে রাজ্যপাল বলেন, 'আমার গাড়ি আটকে মানুষ ভয়ের কথা জানিয়েছেন। বলছেন খুন হচ্ছে, দৃষ্কৃতীরা তাদের বুথে যেতে বাধা দিচ্ছেন। প্রিসাংডিং অফিসার তাদের অভিযোগকে আমল দজিচ্ছেন না। এইসব ঘটনা গণতন্ত্রের পক্ষে কালো দাগ। ভোট বুলেটে নয, ব্যালটে হওয়া প্রয়োজন। যেখানে অভিযোগ পাচ্ছি সব উপযুক্ত জায়গায় জানাচ্ছি। মানুষকে বলব, ভয় কাটিয়ে ভোটের লাইনে দাঁড়়ান। আমনাদের ভোট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আজ কাউকে দোষারোপের দিন নয়, গণতন্ত্র ও ভোটারদের রক্ষা করার দিন।'