অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগে ঘিরে রাজভবন-নবান্ন দ্বন্দ্ব অন্য মাত্রা পেয়েছে। জল গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। আপাতত আর কোনও অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করতে পারবেন না সিভি আনন্দ বোস। উপাচার্য নিয়োগ ইস্যুতে সমাধানের পথ খুঁজতে সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ মেনে শেষপর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখলেন রাজ্যপাল আনন্দ বোস। মুখ্যমন্ত্রীকে তিনি রাজভবনে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল, উপাচার্য নিয়োগে নিয়ে রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীর কোনও ইগো থাকা উচিত নয়। সমাধান সূত্রের জন্য রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীকে কফির নিমন্ত্রণ জানাতে পারেন। আলোচনায় করে উপায় বার করতে হবে। এরপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সিভি আনন্দ বোসের এই চিঠি তাৎপর্যপূর্ণ। এপ্রসঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেছেন, 'সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যপালকে বলেছিল মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষা দফতরের সঙ্গে আলোচনায় বসতে। প্রথম দফায় উনি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বসতে চেয়েছেন। এটা ভাল তো।'
আরও পড়ুন- কামদুনি গণধর্ষণ রায়: প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ মমতা, এবার একেবারে হেস্তনেস্ত!
আরও পড়ুন- সুকান্ত-অমিতাভদের পোস্টারে লাথি, জুতোপেটা! নজিরবিহীন কাণ্ডে উত্তাল বিজেপির রাজ্য দফতর
নবান্ন ও শিক্ষা দফতরকে এড়িয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস যেভাবে অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করছিলেন তা নিয়ে সরব ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজভবন অভিযানের হুঁশিয়ারি দিলেও কর্ণপাত করেননি রাজ্যপাল। একের পর এক রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তবর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ করে চলেছিলেন বাংলার সাংবিধানিক প্রধান।
রাজ্যপালের এই 'তুঘলকি' সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে রাজ্য সরকার। সেই মামলায় ধাক্কা খেয়েছেন রাজ্যপাল। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, রাজ্যপাল আর অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করতে পারবেন না। রাজ্যপাল অন্তর্বর্তী উপাচার্য হিসাবে যাঁদের নিয়োগ করেছেন, তাঁরা কোনও সুযোগ বা সুবিধা পাবেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তও তাঁরা নিতে পারবেন না। পরবর্তী শুনানিতে রাজ্যের বক্তব্য শুনবে সুপ্রিম কোর্ট। আদালত জানিয়েছে, ইগো ছেড়ে রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রী সমাধান সূত্র খোঁজার চেষ্টা করুন।