রাজভবনে ফোন এলো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রের কর্তাদের। বাংলার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে সতর্ক করল অমিত শাহর মন্ত্রক! রাজভবনের সঙ্গে নবাবন্নের সম্পর্ক অম্ল-মধুর। রাজ্যের শাসকপক্ষ প্রায়ই আনন্দ বোসকে বিজেরির এজেন্ট বলে কটাক্ষ করে তাকে। এই আবহে সীমা অতিক্রমের জন্য রাজ্যপালকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সতর্কীকরণ চিঠি বেশ তাৎপর্যবাহী।
কোন সীমা লংঘন করেছেন রাজ্যপাল?
সব রাজ্যের রাজ্যপালদের আন্তঃ রাজ্য সফরের কোটা রয়েছে। ২০১৫ সালে রাজ্যপালদের ভ্রমণ সংক্রান্ত আইনে সংশোধনী পাস করানো হয়েছিল। সেখানেই স্থির হয় রাজ্যপালরা বছরের মোট দিনের কুড়ি শতাংশ অর্থাৎ ৭৩ দিনের বেশি সংশ্লিষ্ট রাজ্যের বাইরে থাকতে পারবেন না। কিন্তু বাংলার রাজ্যপালকে দেখা যায়, ঘনঘন রাজ্যের বাইরে সফর করতে। প্রায়ই তিনি কেরল বা দিল্লিতে যান। সূত্রের খবর, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ইতিমধ্যেই আন্তঃ রাজ্য সফরের কোটা শেষ করে ফেলেছেন। অর্থাৎ তাঁর ৭৩ দিন আন্তঃ রাজ্য সফরের কোটা শেষ।
গত সোমবার অমিত শাহ কলকাতায় এসেছিলেন। উদ্বোধন করেন কলকাতার রামমন্দিরের আদলে তৈরি দুর্গা মণ্ডপের। জানা গিয়েছে, শাহর কলকাতা সফরের দু'দিন আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের আধিকারিকরা রাজভবনের কর্তাদের ফোন করে সরকারি বার্তায় রাজ্যপালের ভ্রমণের বিষয়টি বিবেচনা করতে বলেছেন।
কোটার বেশি ভ্রমণের ক্ষেত্রে রাজ্যপালদের কী করণীয়?
২০১৫ সালে রাজ্যপালদের ভ্রমণ সংক্রান্ত আইনে সংশোধনী পাস করানো হয়েছিল। আইন মোতাবেক, বছরের ৭৩ দিনের বেশি কোনও রাজ্যের রাজ্যপালই সংশ্লিষ্ট রাজ্যের বাইরে থাকতে পারবেন না। কোটার বেশি সংখ্যক ভ্রমণ করতে হলে রাজ্যপালদের রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে আগাম অনুমতি নিতে হয়। ভিন রাজ্যে ব্যক্তিগত সফরের জন্য ২ সপ্তাহ আগে এবং সরকারি কাজ সংক্রান্ত সফরের জন্য এক সপ্তাহ আগে এই অনুমতি নিতে হয়। সরকারি হোক বা ব্যক্তিগত- বিদেশ সফরের ক্ষেত্রে ৬ মাস আগে রাষ্ট্রপতির অনুমতি লাগে।
বাংলার রাজ্যপালের আন্তঃ রাজ্য সফরের কোটা ইতিমধ্যেই শেষ। ফলে সিভি আনন্দ বোসকে চলতি আর্থিক বছর পশ্চিমবঙ্গের বাইরে অন্য কোনও রাজ্যে যেতে হলে এবার রাষ্ট্রপতির অনুমতি নিতে হবে। রাজ্যপাল চাইলেই আর অন্য রাজ্যে সফর করতে পারবেন না। কে
রাজ্যপালের সফরের খরচ কার?
রাজ্যপালের সব খরচই রাজ্য সরকার বহন করে থাকে। সিভি আনন্দ বোসের অন্তঃ রাজ্য সফরের খরচও হয় রাজ্যের কোষাগার থেকে। ইতিমধ্যেই তাঁর অন্তঃ রাজ্য সফরের কোটা শেষ। মুখ্যমন্ত্রী তথা শাসক দল ইতিমধ্যেই রাজ্যপালের জন্য হওয়া বিপুল খরচ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তার মধ্যেই রাজভবনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের শীর্ষ কর্তারা ফোন করে আনন্দ বোসের অন্তঃ রাজ্য সফরের সীমা নিয়ে সতর্ক করলেন।