Advertisment

'আজ মাঝরাতে কী করি দেখুন', রাজ্যপালের হুঁশিয়ারির পাল্টা ব্রাত্যেরও! 'অদ্ভুত' আবেদন চর্চায়

এবার আর বিস্ফোরণ নয়, রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত এ এক অন্য সীমায় পৌঁছে গেল।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
governor cv ananda bose and bratya basu attacks each other

রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এবং শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।

এবার আর বিস্ফোরণ নয়, রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত এ এক অন্য সীমায় পৌঁছে গেল। দিন কয়েক আগেই মধ্যরাতে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ করেছিলেন রাজ্যপাল তথা আচার্য সিভি আনন্দ বোস। জন্মাষ্টমীর দিন তাঁর ভাষণেও রাজ্যপাল তুলোধনা করেছিলেন রাজ্যকে। শুক্রবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু সাংবাদিক বৈঠক করে তুমুল আক্রমণ করেন রাজ্যপালকে। তারই জবাবে শনিতে 'তুখোড়' হুঁশিয়ারি সিভি আনন্দ বোসের। তবে এবারও থেমে থাকেননি ব্রাত্য। পাল্টা উত্তরে বাজার গরম করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্ত্রিসভার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই সদস্য।

Advertisment

শনিবার কী বললেন রাজ্যপাল? যা নিয়ে এত হইচই!

"যা করেছি, ঠিক করেছি। যেটা করেছি তা নিয়ে গর্ব বোধ করছি। আজ মধ্যরাত পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। কী হবে দেখতে পাবেন।"

পাল্টা জবাবে টুইটে নাম না নিয়ে রাজ্যপালকে তুমুল কটাক্ষে কী লিখলেন ব্রাত্য?

"মধ্যরাত পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। কী ঘটে তা দেখুন। সাবধান! সাবধান! সাবধান! শহরে নতুন ভ্যাম্পায়ার এসেছে! নাগরিকরা দয়া করে নিজেদের দিকে খেয়াল রাখুন। ভারতীয় পুরাণে উল্লিখিত রাক্ষস প্রহরের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি!"

আরও পড়ুন- সামনেই কৌশিকী অমাবস্যা, পুন্যার্থীদের কথা ভেবে অভূতপূর্ব ব্যবস্থা তারাপীঠ মন্দিরে

উল্লেখ্য, এর আগে জন্মাষ্টমীর দিন সরাসরি বার্তায় রাজ্যের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ সামনে এনেছিলেন রাজ্যপাল। তাঁর অভিযোগের মধ্যে অন্যতম ছিল উপাচার্য-হেনস্থা। তাঁর নিয়োগ করা উপাচার্যদের হেনস্থা-হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিলেন সিভি আনন্দ বোস। এক্ষেত্রে শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের একাংশকে দায়ী করেছিলেন তিনি। রাজ্যপালের এই অভিযোগ নস্যাৎ করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।

শুক্রবার রাজ্যপালকে আক্রমণ করে কী বলেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী?

"সংবিধান বহির্ভূত কাজ করেছেন রাজ্যপাল। উনি ইচ্ছামতো লোকজনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে বসালেন। যাঁদেরকে উনি বসালেন তাঁরা কি সন্দেহের ঊর্ধ্বে? পড়ানোর সঙ্গে একেবারে যুক্ত নন এমন লোককেও উনি উপাচার্য হিসেবে কাজ করার অধিকার দিচ্ছেন। ইউজিসি-র নির্দেশিকাতেও এটা নেই। অন্তর্বর্তী উপাচার্যের কোনও সুযোগ নেই। রাজ্য সরকার, মুখ্যমন্ত্রীকে অগ্রাহ্য করার পাশাপাশি ইউজিসি, আদালতকেও অপমান করছেন রাজ্যপাল। আইন গুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন তিনি। পুতুল খেলা খেলছেন রাজ্যপাল।” রাজ্যপালের সঙ্গে মহম্মদ বিন তুঘলকেরও তুলনা টেনেছিলেন ব্রাত্য।

আরও পড়ুন- ‘উনি বিচারক এবং উনিই ফাঁসুড়ে’, রাজ্যপালকে বীভৎস আক্রমণে ব্রাত্য!

bratya basu West Bengal Vice Chancellor cv ananda bose
Advertisment