পঞ্চায়েত ভোটে হিংসাকবলিত বিভিন্ন জেলার একাধিক স্থানে পৌঁছে গিয়েছেন রাজ্যপাল। ঘুরেছেন গ্রাউন্ড জিরো-তে। ভোট পরিচালনায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। সোজাসাপটাভাবেই বলেছেন 'হিংসা বরদাস্ত নয়'। ভাঙড় ও ক্যানিং পরিদর্শনের পর রাজভবনে খুলেছিলেন 'পিস রুম'। যা নিয়ে কম হইচই হয়নি। কিন্তু, ভোটে শান্তি রুখতে মরিয়া রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। এবার 'পিস অ্যান্ড হারমনি' কমিটি তৈরি করলেন সিভি আনন্দ বোস। এই কমিটির নেতৃত্বে বসিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায়কে।
অন্যদিকে, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য পদেও অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায়কে নিয়োগ করেছেন রাজ্যপাল তথা উপাচার্য আনন্দ বোস।
পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে রাজ্যপালের একের পর পদক্ষেপ ও উপাচার্য নিয়োগ ঘিরে এমনিতেই রাজভবন-নবান্ন সংঘাত তীব্র। এরপরও ওই দুই বিষয়েই রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের জোড়া পদক্ষেপে রাজভবনের সঙ্গে রাজ্য সরকারের তিক্ততা আরও তীব্রতর হবে বলেই আশঙ্কা।
রাজভবনের তরফে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে যে, ভোটের সময় কোনও রকম হিংসা ও দাঙ্গার পরিস্থিতি বরদাস্ত করা হবে না। ভোট সংক্রান্ত অশান্তি ঠেকাতে রাজভবনে অভিযোগ জানানো যাবে। সেই অভিযোগ পেয়ে রাজ্যপালের তরফে জানানো হবে রাজ্য সরকার এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে। অভিযোগ পেলেই কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষা কমিটিতে অভিযোগ জানানো যাবে। এই কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শুভ্র কমল মুখোপাধ্যায়কে।
বুধবার রাতে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের টুইটার হ্যান্ডলারে পোস্ট করা হয়েছে, 'ডঃ বোস হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে একটি শান্তি ও সামাজিক সংহতি কমিটি গঠন করেছেন। তিনিই রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচর্য হতে সম্মত হয়েছেন।'