বর্ধমান বিশ্ববিদ্য়ালয়ে সহ-উপাচার্য নিয়োগ ঘিরে রাজ্য় বনাম রাজ্য়পাল সংঘাত সপ্তমে পৌঁছেছিল। ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই একেবারে বরফ গলে জল! বর্ধমান বিশ্ববিদ্য়ালয়ে সহ-উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে বিতর্কের ঘটনায় 'ঢাকনা' লাগিয়ে দিয়েছেন বলে বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে জানালেন জগদীপ ধনকড়। শুধু তাই নয়, এ প্রসঙ্গে এদিন সকালে মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের সঙ্গে তাঁর আলোচনা হয়েছে বলে দাবি করেছেন রাজ্য়পাল। অন্য়দিকে, রাজ্য়পাল-শিক্ষামন্ত্রী বাগযুদ্ধে 'ইতি' টেনে ধনকড় জানালেন, ''মমতার মন্ত্রিসভায় পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ই একমাত্র আমার বন্ধু, তিনি অত্য়ন্ত ভদ্র ও শিক্ষিত''।
ঠিক কী বলেছেন রাজ্য়পাল?
বুধবার রাজভবনে সাংবাদিক বৈঠকে বর্ধমান বিশ্ববিদ্য়ালয়ে সহ-উপাচার্য নিয়োগ ঘিরে বিতর্ক প্রসঙ্গে জগদীপ ধনকড় বলেন, ''পুরো বিষয়টির উপর ঢাকনা দিয়ে দিয়েছি। অনেক ভেবেচিন্তে এটা করেছি। মুখ্য়মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। মুখ্য়মন্ত্রীর হাতে ছেড়ে দিয়েছি। আশা করব, উনি এমন পদক্ষেপ করবেন যাতে এরকম ঘটনা আর না ঘটে। মুখ্য়মন্ত্রীই নির্ণয় করবেন''।
আরও পড়ুন: ধনকড়ের সিদ্ধান্ত নাকচ, বর্ধমান বিশ্ববিদ্য়ালয়ের সহ-উপাচার্য পদে নয়া নিয়োগ রাজ্য়ের
এ প্রসঙ্গে রাজ্য়পাল আরও বলেন, ''এখন শিক্ষাক্ষেত্রে বিতর্কের সময় নয়, এতে পড়ুয়ারা উপকৃত হবেন না। মুখ্য়মন্ত্রী ও আমি দু'জনেই মনে করি, এ ধরনের বিতর্ক হওয়া ঠিক নয়''। গত ১৫ দিনে মুখ্য়মন্ত্রীর সঙ্গে তিনবার তাঁর কথা হয়েছে বলেও জানান তিনি। ধনকড় বলেন, ''মুখ্য়মন্ত্রী কিছু পরামর্শ দিয়েছেন, সেগুলি মাথায় রাখব''।
অন্য়দিকে, শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বাগযুদ্ধ প্রসঙ্গে এদিন রাজ্য়পাল বলেন, ''মমতার মন্ত্রিসভায় পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ই একজন, যিনি আমার বন্ধু। ওঁর সঙ্গে সেকেন্ডে সেকেন্ডে কথা হয়। উনি খুবই ভদ্র, শিক্ষিত''। উল্লেখ্য়, বর্ধমান বিশ্ববিদ্য়ালয় বিতর্কে রাজ্য়পালকে বিজেপির লোক বলে মন্তব্য় করেছিলেন পার্থ। পাশাপাশি রাজ্য়পাল মস্তানের মতো কথা বলছেন বলেও তোপ দাগেন তৃণমূল মহাসচিব। অবিলম্বে পার্থর বক্তব্য় প্রত্য়াহারের দাবি জানিয়েছিল রাজভবন।
এদিন, রাজ্য়পাল আরও বলেছেন, ''করোনা, আমফান, পরিযায়ী শ্রমিক, এই তিন সমস্য়ায় জর্জরিত বাংলা। এই কঠিন সময় সরকারের কাঁধে কাঁধ রেখে কাজ করতে চাই। রাজ্য়বাসীর কথা ভাবা আমার সাংবিধানিক কর্তব্য়ের মধ্য়ে পড়ে''।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন