আবারও জিটিএ-র বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। এবার থেকে প্রতি বছর জিটিএ-র অডিট করাতে হবে বলে সাফ জানিয়ে দিলেন ধনকড়। এমনকী জিটিএ-র বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির প্রমাণ মিললে মামলারও হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন রাজ্যপাল।
পাহাড়েও দুর্নীতির আঁচ। গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে সরব খোদ রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। বৃহস্পতিবার জিটিএ চেয়ারম্যানের শপথ অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। সেখানেই জিটিএ-র বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে সরব জগদীপ ধনকড়। এদিন দার্জিলিংয়ের ভানু ভবনে জিটিএ চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ নেন ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার সভাপতি অনীত থাপা। তাঁকে শপথ বাক্য পাঠ করিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।
শপথ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্যপাল এদিন বলেন, ''২০১৯ সাল থেকে জিটিএ-তে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। দীর্ঘদিন ধরে কোনও অডিট হয়নি। এখন থেকে প্রতি বছরই অডিট করাতে হবে। অডিটে যদি আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যায় তাহলে মামলা করতে হবে।''
আরও পড়ুন- শিয়ালদহ থেকে যাত্রা শুরু মেট্রোর, কত মিনিট অন্তর মিলছে ট্রেন, কতক্ষণে পৌঁছবেন সেক্টর ফাইভ?
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের পর থেকে জিটিএ-তে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে বিভিন্ন সময়ে সরব হয়েছে বিজেপি-সহ পাহাড়ের একাধিক রাজনৈতিক দল। বিভিন্ন সময়ে রাজ্যপালের মুখেও শোনা গিয়েছে জিটিএ-র 'দুর্নীতি'র কথা। রাজ্যপালের কাছে এই অভিযোগ নিয়ে দরবারও করেছে পাহাড়ের রাজনৈতিক দলগুলি। অভিযোগ উঠেছে, উন্নয়নের নামে জিটিএ-তে কার্যত সরকারি টাকার নয়ছয় হয়েছে।
আরও পড়ুন- ২১ জুলাই তৃণমূল না সরকারের সভা? হাসপাতালে ব্যবস্থা-নির্দেশ নিয়ে ধুয়ে দিলেন BJP নেতা
রাজ্যের মদতে জিটিএ-র মসনদে কখনও বসেছেন বিনয় তামাঙ কখনও অনীত থাপা। কখনও বোর্ডের পরিচালনার ক্ষমতা ছিল প্রশাসকের হাতে। কিন্তু জিটিএ-র অডিট হয়নি বলে অভিযোগ। এবার তাই জিটিএ-র অডিট করানোর সওয়াল তুলেছেন খোদ রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।