পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার ২৪ ঘন্টা না কাটতেই মনোনয়ন পেশ ঘিরে বিভিন্ন জেলায় হিংসা ছড়িয়েছে। বিরোধীদের মনোনয়নে বাধার অভিযোগ উঠছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাতে খড়গ্রামে এক কংগ্রেস কর্মী নিহত হয়েছেন। এদিন ডোমজুড় সহ নানা স্থানে গন্ডগোল হয়। ইতিমধ্যেই পঞ্চায়েত ভোটে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার দাবিতে রাজ্যপালের কাছে চিঠি লিখেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। একই দাবিতে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের দরবারে হাজির হয়েছিল বিজেপির প্রতিনিধি দল। কমিশন দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেস। এসবের এরপরই রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে তলব করেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। দুপুরেই রাজভবনে যান কমিশনার রাজীব সিনহা।
রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে কী কথা হয়েছে রাজ্যপালের? সূত্রের খবর, সুষ্ঠুভাবে পঞ্চায়েত ভোট করাতে রাজ্যের কাছে পর্যাপ্ত পুলিশ রয়েছে কিনা তা কমিশনারের থেকে জানতে চেয়েছেন সি ভি আনন্দ বোস।
বিরোধী শিবিরের দাবি পুলিশ দিয়ে নয়, পঞ্চায়েত ভোট হোক কেন্দ্রীয় বাহিনীর তত্ত্বাহধানে। তৃণমূল জমানায় বিগত দুটি পঞ্চায়েত ভোটে ব্যাপক হিংসার উদাহরণ তুলে ধরে ওই দাবি করছে বিরোধী বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর দিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের দাবিতে হাইকোর্টে মামলা হয়েছে। এই অবস্থায় রাজ্যপালের মুখেও কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রসঙ্গ।
এই প্রসঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ রাজ্যপালকে নিশানা করেছেন। তিনি বলেন, 'রাজ্যের কাছে পর্যাপ্ত পুলিশ না থাকলে প্রতিবেশী রাজ্য থেকে তা আনা যেতে পারে। আসলে রাজ্যপালকে ওনার দিল্লির বশেরা বলেছেন চাপ সৃষ্টি করতে। ওনার জেনে রাখা প্রয়োজন যে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হওয়া সত্ত্বেও তৃণমূল বিজেপিকে একুশ সালে হারিয়েছিল। সিপিএম, কংগ্রেসকে শূন্যে পরিণত করেছে।'
আরও পড়ুন- পঞ্চায়েত জিততে মারকাটারি পরিকল্পনা শাসক তৃণমূলের, দোসর প্রশাসন! বোমা ফাটালেন শুভেন্দু
জানা গিয়েছে কমিশনার রাজীব সিনহাকে এদিন রাজ্যপাল বোস জিজ্ঞাসা করেছেন যে, পঞ্চায়েত ভোট কী কেন্দ্রীয় বাহিনীর তত্ত্বাবধানে করাতে চায় কমিশন। জবাবে কমিশনার জানিয়েছেন যে, বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। আদালতের নির্দেশ মোতাবেক কমিশন পদক্ষেপ করবে।
পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার দিন (গত বৃহস্পতিবার) কমিশন দফতরে বলে কমিশনার রাজীব সিনহা জানিয়েছিলেন যে- কেন্দ্রীয় বাহনী নয়, রাজ্য পুলিশকে দিয়েই শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু ও অবাধ ভোট করাতে চায় কমিশন। তৃণমূল কমিশনের ওই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছিল। প্রতিবাদে ফেটে পড়ে বিরোধী দলগুলো।