বর্ধমান বিশ্ববিদ্য়ালয়ের সহ-উপাচার্য পদে নিয়োগ নিয়ে রাজ্য় বনাম রাজ্য়পাল সংঘাত তুঙ্গে। ধনকড়ের নিয়োগকে কার্যত 'বুড়ো আঙুল' দেখিয়েই উচ্চশিক্ষা দফতরের সুপারিশ মেনেই বর্ধমান বিশ্ববিদ্য়ালয়ের সহ-উপাচার্য পদে নিয়োগ করা হল কল্য়াণী বিশ্ববিদ্য়ালয়ের জু'লজির অধ্য়াপক আশিস পানিগ্রাহীকে। ইতিমধ্য়েই বিশ্ববিদ্য়ালয়ের সহ-উপাচার্য হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন আশিসবাবু।
উল্লেখ্য়, বর্ধমান বিশ্ববিদ্য়ালয়ের সহ-উপাচার্য নিয়োগ ঘিরে রাজ্য়ের সঙ্গে বেনজির সংঘাতে জড়ান রাজ্য়পাল জগদীপ ধনকড়। সহ-উপাচার্য হিসেবে বর্ধমান বিশ্ববিদ্য়ালয়েরই জুলজি বিভাগের প্রধান অধ্য়াপক গৌতম চন্দ্রকে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেন রাজ্য়পাল। আর এ নিয়েই সংঘাতের শুরু। রাজ্য়পালের সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে রাতে পানিগ্রাহীকে সহ-উপাচার্য পদে নিয়োগের নির্দেশিকা জারি করে উচ্চশিক্ষা দফতর।
সহ-উপাচার্য পদে নিয়োগ ঘিরে টানাপোড়েনের আবহে অধ্য়াপক গৌতম চন্দ্র জানিয়েছেন, ''রাজ্য়পালের নির্দেশের পর, রাজ্য় সরকারের আরেকটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে, যেখানে অন্য় একজন অধ্য়াপককে বর্ধমান বিশ্ববিদ্য়ালয়ের সহ-উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। এ ব্য়াপারে আমার কিছুই বলার নেই। গোটা বিষয়টি বিভ্রান্তিকর। দেখা যাক কী হয়''।
আরও পড়ুন: ‘সহ-উপাচার্যের এই নিয়োগ মানব না’, ‘বিজেপি ম্যান’ রাজ্যপালকে তোপ পার্থর
অন্য়দিকে, আরেক অধ্য়াপক আশিস পানিগ্রাহী জানিয়েছেন, ''উচ্চশিক্ষা দফতরের নির্দেশ মোতাবেক, সহ-উপাচার্য হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছি''।
এদিকে, এ ইস্য়ুতে রীতিমতো বাগযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন রাজ্য়পাল ও শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়। রাজ্য়পাল 'মস্তানের মতো আচরণ করছেন' বলে তোপ দাগেন পার্থ। রাজ্য়পাল 'বিজেপির লোক', শিক্ষামন্ত্রীর এহেন মন্তব্য়ের পাল্টা ধনকড় বলেন, একজন মন্ত্রীর এ ধরনের মন্তব্য় কুরুচিপূর্ণ।
আরও পড়ুন: ৮ জুন বাংলায় অমিত শাহের অনলাইন জনসভা
এ প্রসঙ্গে রাজভবনের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ''মাননীয় মন্ত্রী রাজ্য়পালকে বিজেপির লোক বলেছেন...একজন মন্ত্রী হিসেবে এধরনের মন্তব্য় অশোভনীয়''। শিক্ষামন্ত্রীর এ ধরনের মন্তব্য় প্রত্য়াহারের দাবি জানান রাজ্য়পাল। একইসঙ্গে এ ব্য়াপারে মুখ্য়মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেন তিনি।
রাজ্য়পালকে পাল্টা আক্রমণ করে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় বলেন, ''রাজ্য়পাল নিয়োগপত্র দিচ্ছেন, এমনটা আমার কেরিয়ারে কখনও শুনিনি। এটা পুরোপুরি অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক। রাজ্য়পালের পদের অপব্য়বহার করছেন উনি। আমরা এটা মেনে নেব না। এও শুনেছি যে, উপাচার্যদের ফোনে ধমক দিচ্ছেন রাজ্য়পাল। আপনাকে সাসপেন্ড করা হবে, আপনি ফিনিশড, এসব উপাচার্যদের বলা হচ্ছে...মস্তানের মতো কথা বলছেন উনি''।
উল্লেখ্য়, এর আগেও একাধিক ইস্য়ুতে রাজ্য় বনাম রাজ্য়পাল সংঘাত দেখেছে বাংলা। এ তালিকায় এবার নয়া সংযোজন বর্ধমান বিশ্ববিদ্য়ালয়ের সহ-উপাচার্য নিয়োগের ঘটনা।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন