Advertisment

বিরোধীদের তোপের মুখে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য টোল ফ্রি নাম্বার চালু রাজ্যে প্রশাসনের

"মুখ্যমন্ত্রী আরও বেশি ট্রেনের আবেদন না করে ই-পাস দিচ্ছেন। কেন্দ্র এবং রাজ্যের লড়াইয়ে আটকে রয়েছেন পরিযায়ী শ্রমিকেরা। এই লড়াইয়ের অবসান হোক এখনই।"

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

লকডাউন রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের সমস্যা মেটাতে বিরোধীদের তোপের মুখে এবার হোয়াটসঅ্যাপ এবং টোল-ফ্রি নাম্বার চালু করল মমতা প্রশাসন। বাংলায় আটকে থাকা শ্রমিক এবং ভিন রাজ্যে আটকে থাকা বাংলার শ্রমিকরা যাতে যোগাযোগ করতে পারে, সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত। এমনকী একটি স্বয়ংক্রিয় ই-পাস সিস্টেমও চালু করা হয়েছে।

Advertisment

রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার একটি নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়, "লকডাউন নিয়ম মেনে রাজ্যে প্রবেশ এবং প্রস্থানের জন্য পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের অভ্যন্তরে ও বাইরে আটকে থাকা সকল ব্যক্তির সুবিধার্থে এগিয়ে বাংলা পোর্টালে http://www.wb.gov.in একটি স্বয়ংক্রিয় ই-পাস সিস্টেম তৈরি ও আপলোড করা হয়েছে। এই লিঙ্কটিতে গিয়ে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে এবং ই-পাস ও পাওয়া যাবে।"

এমনকী, পরিযায়ী শ্রমিকরা সাহায্যের জন্য নিজেদের তথ্য রেজিস্টার করতে হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার 8017845555-এ ‘hi’ লিখে পাঠাতে হবে অথবা 51969 এই নাম্বার এই ‘hi’ লিখে এসএমএসও পাঠাতে পারবেন। এছাড়াও শ্রমিকদের সাহায্যার্থে খোলা হয়েছে 1070 এই টোল ফ্রি নাম্বারটি।

আরও পড়ুন: ‘বাংলায় পরিযায়ী শ্রমিকদের প্রতি অন্যায় হচ্ছে’, মমতাকে চিঠি শাহের

কংগ্রেসের তরফে পরিযায়ী শ্রমিকদের তাঁদের রাজ্যে ফেরানো এবং বাংলার শ্রমিকদের নিজ রাজ্যে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে। কংগ্রেস সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, "এখনও পর্যন্ত মাত্র দুটি ট্রেন এসেছে। মুখ্যমন্ত্রী আরও বেশি ট্রেনের আবেদন না করে ই-পাস দিচ্ছেন। কেন্দ্র এবং রাজ্যের লড়াইয়ে আটকে রয়েছেন পরিযায়ী শ্রমিকেরা। এই লড়াইয়ের অবসান হোক এখনই।" এ বিষয়ে সরব হয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “রাজ্য সরকারকে অবশ্যই এর জন্য আলোচনা শুরু করতে হবে। তাঁদেরকে কীভাবে ফেরানো যায় বা নিয়ে আসা যায়, সেই ব্যবস্থা করতে সক্রিয় পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। কেন্দ্র তো সবরকম সাহায্য করার জন্য বসে আছে। বাংলার শ্রমিকদের রাজ্যে ফিরিয়ে আনা তো রাজ্য সরকারের দায়িত্ব।"

যদিও বিরোধীদের এসব দাবি নস্যাৎ করে মমতার মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, তৃণমূল কংগ্রেসের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্যই এ সব অভিযোগ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, “কোভিড-১৯-এ মৃত্যুর বিষয়ে মিথ্যা তথ্য তুলে ধরে প্রথমে বিজেপি আমাদের কলঙ্কিত করার চেষ্টা করেছে। আর এখন পরিযায়ী শ্রমিকদের বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করছে। এসব মিথ্যা প্রচার ছাড়া ওদের কোনও কাজ নেই। যা যা করার রাজ্য সরকার চেষ্টার খামতি রাখছে না।"

Read the story in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Mamata Banerjee
Advertisment