ভাল পড়ুয়ারা অনেক ক্ষেত্রেই নিজের কেরিয়ার নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। জলপাইগুড়ির গ্রন্থন সেনগুপ্তকে কী মনে আছে? করোনা মোকাবিলায় অসহায় মানুষের পাশে গ্রন্থন। সাধারণের মুখে অন্ন তুলে দিতে নিজেই হেঁশেলে ঢুকে পড়েছেন। কয়েকশো লোকের রান্না করছেন নিজের হাতে।
আর্টস নিয়ে পড়াশুনা করে ২০১৮ সালে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় রাজ্যে প্রথম স্থান অধিকার করে হৈচৈ ফেলে দিয়েছিল জলপাইগুড়ি জেলা স্কুলের এই ছাত্র। করোনা পরিস্থিতিতে তাঁকে নতুন ভূমিকায় দেখে অভিভূত জলপাইগুড়িবাসী।
হাতের পেনকে আপাতত টেবিলে রেখে একটি সামাজিক সংগঠনের হেঁশেলে গিয়ে লক ডাউনের ফলে নিদারুন কষ্টে থাকা মানুষগুলির জন্য রান্না করছেন গ্রন্থন। পড়াশোনার পাশাপাশি গ্রন্থন গান-বাজনা ও অভিনয়েও বেশ পারদর্শী। জলপাইগুড়ির কয়েকজন যুবক 'অন্নদাত্রী' নামে এক সামজিক সংগঠন তৈরি করেছে। গত ৩ দিন ধরে সদস্যরা নিজেরাই চাঁদা দিয়ে বাজার করছে। এরপর রান্না করে খাবার বানিয়ে নিরন্ন মানুষের কাছে তা পৌঁছে দিচ্ছে। এবার তাঁদের এক সদস্য সন্তোষ মিশ্রর ডাকে সারা দিয়ে হেঁশেলে পৌঁছে গেলেন গ্রন্থন।
আরও পড়ুন- লকডাউনের আঁধারে বাংলার বই প্রকাশনার দুনিয়া
গ্রন্থন বলেন, "এখন রাজনীতির সময় নয়। মানুষের পাশে দাড়ানোই বড় কথা। সন্তোষ দা আমার পরিচিত। উনি ডেকেছেন তাই এই সময়ে এত ভাল কাজ করার লোভ সামলাতে পারিনি। চলে গেলাম। এইরকম ভাল কাজে আমাকে যে কেউ ডাকলে আমি অবশ্যই যাব।" খিচুড়ি আর লাবড়া তৈরিতে যে সে যথেষ্ট পারদর্শী তা স্বীকার করেছেন আয়োজকরা। সন্তোষ মিশ্র বলেন, "গ্রন্থন আমাদের রান্নাঘরে এসেছে। আমাদের খুব ভালো লেগেছে। ও যেমন পড়াশোনায় ভাল তেমনি রান্নাতেও ভাল।"
রান্নার প্রশংসা শুনে গ্রন্থন বলেন, "যদিও আমি খুব বেশি রান্না জানি না। তবে চালিয়ে নেবার মতো রান্না করতে পারি। আজ লাবড়া রান্নায় হাত লাগিয়ে খুব ভালো লাগলো। আর ছাত্র ছাত্রীদের জন্য মেসেজ দিতে চাই যে এখন অনলাইনে পড়াশোনা চলছে, যদি কারও দরকার থাকে আমার সঙ্গে অনলাইনে যোগাযোগ করলে আমি অবশ্যই সাড়া দেব।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন