Advertisment

জিএসটি ও ঋণ নিয়ে অসন্তোষ, নির্মলাকে চিঠি অমিতের

রিজার্ভ ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে সুদের হার নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মমতার মন্ত্রী। এই বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনকে চিঠিও দেন তিনি।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

জিএসটি থেকে রাজ্যগুলির এ বছরে যে পরিমাণ আয় কম হবে, তার পুরোটাই কেন্দ্র ঋণ নিয়ে রাজ্যকে ঋণ দিক, এমন দাবি তুললেন বাংলার অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। এমনকী, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে সুদের হার নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মমতার মন্ত্রী। জিএসটি সংক্রান্ত এই বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনকে চিঠিও দেন তিনি।

Advertisment

অমিত মিত্রের বক্তব্য, 'কেন্দ্র ৫ শতাংশের কম সুদে ঋণ পায়। কিন্তু রাজ্যের ক্ষেত্রেই সেটা ৬.৮ শতাংশ সুদ দিতে হয়। এর ফলে রাজ্যের ঘাড়ে সুদে-আসলে অনেক বেশি ঋণের বোঝা চাপে।' লকডাউনের জেরে জিএসটি থেকে আয় কমে যাওয়ায় চলতি অর্থ বছরে রাজ্যগুলির প্রায় ১.৮২ লক্ষ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দরকার পড়ত। এর মধ্যে কেন্দ্র ১.১০ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে রাজ্যকে তৎক্ষণাৎ ঋণ দিয়ে দেবে। কিন্তু বাকি ৭২ হাজার কোটি টাকার সংস্থান করতে রাজ্যগুলিকেই বাজার থেকে ধার করতে হবে।

চিঠিতে অমিত মিত্র এও বলেন, আগস্ট ও অক্টোবরে জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে অনেক রাজ্য যুক্তি দিয়েছিল যে, কেন্দ্রীয় সরকার আরবিআইয়ের বিশেষ উইন্ডো থেকে ১৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধির এবং জিএসটি সংগ্রহের মধ্যে ব্যবধান মেটাতে ঋণ নিয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২০-২১ সালের জিএসটি সংগ্রহের ঘাটতি মেটাতে কেন্দ্র একটি বিশেষ ঋণের উইন্ডো তৈরি করেছে। ২১টি রাজ্য এবং ২টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জিএসটি কমপেনসেশনের জন্য অর্থমন্ত্রকের ব্যাক-টু-ব্যাক ঋণের এই বিশেষ উইন্ডোর সুবিধা নেওয়ার পথ বেছে নিয়েছে।

যদিও কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানিয়ে দেন এর মধ্যে পাঁচটি রাজ্যের জিএসটি কমপেনসেশন খাতে কোনও ঘাটতি নেই। এর মধ্যে রয়েছে বাংলাও। সেই অসন্তোষ থেকেই চিঠি অমিত মিত্রের এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের।

Read the full story in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

GST Nirmala Sitharaman
Advertisment