পাহাড়ে প্রতাপ বাড়ল অনীত থাপার ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার। ৪৫ টি আসনের মধ্যে বিজিপিএম-এর দখলে ২৭টি আসন। অর্থাৎ জিটিএ ভোটে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছেন অনীত থাপার দল। প্রথমবার জিটিএ নির্বাচন লড়েছিল তৃণমূলও। ১০টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল রাজ্যের শাসক দল। এর মধ্যে ৫টিতেই জয় পেয়েছে ঘাস-ফুল। এছাড়া, ৮টি আসন দখল করেছে দার্জিলিং পুরসভা ভোটে জয়ী হয়ে সাড়া ফেলে দেওয়া হামরো পার্টি। ৫টিতে জয়ী নির্দল প্রার্থীরা। এর মধ্যে ৪টিই বিজিপিএম সমর্থিত।
দশ বছর পর গত রবিবার পাহাড়জুড়ে গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা জিটিএর নির্বাচন হয়েছিল। মোট ৪৫টি আসনে ভোট হয়।
তবে জিটিএ নির্বাচনের বিরোধিতা করেছিল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা, জিএনএলএফ, বিজেপি, গোর্খা লিগ। এই দলগুলি ভোটে লড়েনি। অন্যদিকে ৪৫ আসনের সবকটিতে প্রার্থী দিয়েছিল, হামরো পার্টি। প্রাক্তন জিটিএ প্রধান অনীত থাপার দল ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার প্রার্থীরা ৩৫টি আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। তৃণমূল লডেছিল ১০টি, সিপিএম ১১টি, কংগ্রেস ৫টি আসনে।
এ দিন ফলপ্রকাশে দেখা গেল জিটিএ এককভাবে দখল করেছে অনীত থাপার দল ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা। বিশাল সাফল্যের পর অনীত থাপা বলেছেন, 'এই জয় পাহাড়ের জয়। এই জয় জনতার জয়। এই জয় ভারতীয় গোর্খা ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের ভবিষ্যৎ গড়ার দায়িত্ব জনগণের সেবকদের দেওয়া হয়েছে।'
দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের প্রতি তাঁর অনুরোধ, 'আমাদের বিজয় আমরা অবশ্যই উদযাপন করবো। কিন্তু যখন আমরা উদযাপন করি তখন কারো দুঃখ পাওয়া উচিত নয়, কষ্ট পাওয়া উচিত নয়। গ্রামে গিয়ে অশান্তি করার, মারামারি যেন কেউ না করে। পাহাড়ে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য অনেক কষ্ট করেছ। এখন পাহাড়ে অশান্তি থাকার কথা নয়। জনগণ আমাদের যে দায়িত্ব দিয়েছে তা নিয়ে আমরা চ্যালেঞ্জ মনে করে করে কাজ করব।' রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে দার্জিলিংয়ের উন্নয়ের ডাক দিয়েছেন অনীত থাপা।