Advertisment

দিল্লির ডাকা জিটিএ বৈঠক প্রত্যাখ্যান গুরুংদের

পাহাড়ারের সমস্যা মেটাতে বৈঠকে 'স্থায়ী সমাধান' নিয়ে আলোচনা হবে না বলে দাবি গুরুং পন্থীদের।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

বিমল গুরুং

কেন্দ্রের ডাকা জিটিএ পর্যালোচনা বৈঠকে অংশ নেবে না গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার বিমল গুরুং শিবির। পাহাড়ারের সমস্যা মেটাতে বৈঠকে 'স্থায়ী সমাধান' নিয়ে আলোচনা হবে না বলে দাবি গুরুং পন্থীদের। তাই ৭ই অগাস্ট দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিবের নেতৃত্বে যে বৈঠক হবে তা প্রত্যাখ্যানের কথা জানিয়েছেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার গুরুংপন্থী নেতা রোশন গিরি।

Advertisment

বিজেপি সহযোগী রোশন গিরির কথায়, ' ১১ গোর্খা জনজাতিকে তফসিল জাতি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত সহ পাহাড়ের স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান নিয়ে আলোচনা না হলে সেই বৈঠকে উপস্থিত হওয়ার কোনও যৌক্তিকতাই নেই। তাই ৭ই অগাস্টের কেন্দ্রের ডাকা বৈঠকে আমরা যোগ দেব না।'

এরপর গিরি বলেছেন, 'পাহাড়বাসীর দীর্য দিনের দাবি মেনে পৃথক রাজ্যই একমাত্র স্থায়ী সমাধান। সেই লক্ষ্যপূরণেই আমরা জিটিএ ছেড়ে এসেছিলাম। কিন্তু, এইবার যে বৈঠক ডাকা হয়েছে সেখানে জিটিএ-এর কাজ নিয়ে পর্যালোনা করা হবে। তাই স্থায়ী সমাধানের বিষয়টি অলোচনার অন্তর্ভুক্ত না হলে আমাদের ওই বৈঠকে যোগ দিয়ে কী হবে?'

গত ২৭ জুলাই কেন্দ্রীয় স্বারাষ্ট্র মন্ত্রক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায় যে, দিল্লিতে আগামী ৭ অগাস্ট গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের কাজের পর্যালোচনা বৈঠক হবে। কেন্দ্রীয় স্বারাষ্ট্র সচিবের নেতৃত্বে হবে এই বৈঠক। এই জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে পশ্চিমবঙ্গ সরকার, দার্জিলিংয়ের জেলা শাসক, ডটিএ চেয়ারম্যান ও জেজিএম-এর সদস্যদের নোটিস দেওয়া হয়েছে।

দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ের প্রশাসনিক কাজ পরিচালনায় জিটিএ হল একটি স্বশাসিত সংস্থা। ১৯৮৮ সালে প্রতিষ্ঠিত দার্জিলিং গোর্খা হিল কাউন্সিল বিলোপ করে ২০১২ সালে জিটিএ তৈরি হয়। বরাবরই পৃথক রাজ্যের দাবিতে সরব গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। ২০১৮ সাল থেকে পৃথক রাজ্যের দাবিতে রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম শুরু করে জেজিএম। পরে, আন্দোলন ঘিরে মতপার্থক্য হয় জেজিএমে। বিমল গুরুংরা কট্টরপন্থী বলে পরিচিত। বিজেপির প্রতি এই শিবির উদার। অপরদিকে বিনয় তামাং গোষ্ঠী রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের প্রতি আনুগত্যশীল।

কিন্তু প্রশ্ন হল যে, বিজেপির সহযোগী হয়েও কেন দিল্লির ডাকে বিমল গুরুং শিবির সাড়া দিল না। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা এর পিছনে কৌশলে চাপ বৃদ্ধির ইঙ্গিত পাচ্ছেন।

Read in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

darjeeling
Advertisment