/indian-express-bangla/media/media_files/2025/07/20/tmc-infighting-east-burdwan-21-july-2025-07-20-16-13-39.jpg)
TMC সাংসদের বিরুদ্ধে 'বিস্ফোরক' অভিযোগ
গুজরাট হাইকোর্ট প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার ও তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ ইউসুফ পাঠানকে সরকারি জমি দখলের অভিযোগে অভিযুক্ত ঘোষণা করেছে। পাশাপাশি আদালত ভদোদরার বিতর্কিত জমি খালি করার নির্দেশ দিয়ে স্পষ্ট জানিয়েছে, সেলিব্রিটিরা আইনের ঊর্ধ্বে নন এবং তাদের কোনও বিশেষ ছাড় দেওয়া হলে তা সমাজে ভুল বার্তা পাঠায়।
অস্তিত্বের সংকটে বন্যপ্রাণ, ৬ মাসে ৩১ সিংহের মৃত্যু বাড়াচ্ছে উদ্বেগ
গত মাসে বিচারপতি মৌনা ভাটের সিঙ্গেল বেঞ্চ এই নির্দেশ জারি করেন। ইউসুফ পাঠান ভদোদরার তান্ডালজা এলাকায় নিজের বাংলো সংলগ্ন সরকারি জমি ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তবে হাইকোর্ট আবেদন খারিজ করে জানায়, আইনি প্রক্রিয়ায় সেলিব্রিটিদের অব্যাহতি দেওয়া হলে বিচার ব্যবস্থার প্রতি জনসাধারণের আস্থা ক্ষুণ্ণ হবে।
আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, একজন সাংসদ ও ক্রিকেটর হিসাবে ইউসুফ পাঠানের আইনের প্রতি আরও বেশি দায়িত্বশীল হওয়া উচিত ছিল। সেলিব্রিটিদের আচরণ ও জনপ্রিয়তা সমাজে গভীর প্রভাব ফেলে। তাই আইন ভঙ্গ করেও তাদের ছাড় দেওয়া হলে ভুল দৃষ্টান্ত স্থাপন হবে।
বিতর্কের সূত্রপাত ২০১২ সালে, যখন ভাদোদরা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন ইউসুফ পাঠানকে সরকারি জমি খালি করার নোটিশ দেয়। এরপর তিনি হাইকোর্টে আবেদন করেন। তবে তদন্তে প্রমাণিত হয়, জমিটি তিনি অবৈধ ভাবে দখল করেন। নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে ইউসুফ পাঠান ও তাঁর ভাই প্রাক্তন ক্রিকেটার ইরফান পাঠান জমিটি কেনার অনুমতি চেয়েছিলেন। তাঁদের দাবি ছিল, আন্তর্জাতিক খ্যাতি এবং পরিবারের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে জমিটি তাঁদের বরাদ্দ করা হোক।
অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে বাংলাদেশে পুশব্যাক, তোলপাড় ফেলা ঘটনায় প্রতিবাদে TMC, মিলল বড় আশ্বাস
পৌর কর্পোরেশনের মূল্যায়নের পর রাজ্য সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হলেও ২০১৪ সালে তা আনুষ্ঠানিকভাবে খারিজ করা হয়। তবুও ইউসুফ পাঠান জমির দখল ছাড়েননি। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর শেষ পর্যন্ত গুজরাট হাইকোর্ট সম্প্রতি এই নির্দেশ জারি করেছে।
/indian-express-bangla/media/agency_attachments/2024-07-23t122310686z-short.webp)
Follow Us