নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আহত হওয়ার ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ করেছিল নির্বাচন কমিশন। কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা অধিকর্তা বিবেক সহায় এবং পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার প্রবীণ প্রকাশকে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর সিকিউরিটি ডিরেক্টর পদে জ্ঞানবন্ত সিংকে নিয়োগ করল নবান্ন।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেও রাজ্যের এডিজি আইনশৃঙ্খলা পদে ছিলেন জ্ঞানবন্ত। কিন্তু কমিশন তাঁকে সরিয়ে দিতে পারে আঁচ করে আগেই তাঁকে সরিয়ে দেয় নবান্ন। তবে তিনি যে নতুন দায়িত্ব পাবেন তা অনেকেরই ধারণার বাইরে ছিল। উল্লেখ্য, বিবেক সহায় ও জ্ঞানবন্ত সিং, এই দুই আইপিএস অফিসারের বিরুদ্ধে আগেই কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছিল বিজেপি। তবে কমিশন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে নির্দেশ দিয়েছিল, ডিজিপি নীরজনয়ন পাণ্ডের সঙ্গে পরামর্শ করেই নয়া নিরাপত্তা অধিকর্তা নিয়োগ করার জন্য।
সোমবারই বিবেকের বিরুদ্ধে ৭ দিনের মধ্যে চার্জ গঠন করে ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করে ব্যবস্থার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। মুখ্যসচিবকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নন্দীগ্রাম কাণ্ডের জেরে অপসারিত পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক বিভু গোয়েল। তাঁর জায়গায় দায়িত্বে এলেন স্মিতা পাণ্ডে।
নন্দীগ্রামে ভোটপ্রচারে গিয়ে জখম হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘটনাকে ‘ষড়যন্ত্র’ বলে দাবি করেছে তৃণমূল। কমিশনকেও নিশানা করে হয়েছিল। ঘটনায় মুখ্যসচিব ও সিইও-র কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়েছিল নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি দুই বিশেষ পর্যবেক্ষককে নিজেদের মতামত জানানোর কথাও বলা হয়েছিল। সেই প্রেক্ষিতেই অজয় নায়েক ও বিবেক দুবে কমিশনকে রিপোর্ট দিয়ে জানিয়েছেন, নন্দীগ্রামের ঘটনা দুর্ঘটনা ছাড়া কিছু নয়।