দারিদ্রতাকে হার মানিয়ে ইউরোপের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ জয় করেছিলেন আগেই। এবার আফ্রিকা মহাদেশের সর্বোচ্চ শিখর মাউন্ট কিলিমাঞ্জারো সফল ভাবে আরোহণ করে সকলকে চমকে দিলেন পর্বতারোহী লক্ষ্মী ঘোষ। রক ক্লাইম্বিং কোর্স শিখতে গিয়েই পাহাড়ের প্রেমে পড়া। আর তারপর থেকে অ্যাডভেঞ্চারের টানে বারে বারেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বেরিয়ে পড়েন রাজ্য পুলিসের কর্মী লক্ষ্মী ঘোষ।
Advertisment
সালটা তখন ২০১৯। ২৭ আগস্ট ইউরোপের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এলব্রুজ অভিযানে সফল হন বাংলার মেয়ে লক্ষ্মী। আর তার পর থেকে পাহাড় জয়ের খিদেটা যেন অনেকটাই বেড়ে যায় তাঁর। ছোট থেকে তিনি ভালবাসেন অ্যাডভেঞ্চারকে। আর সে অ্যাডভেঞ্চারের টানেই বারে বারেই ছুটে চলেন জীবন বাজি রেখে পাহাড় প্রমাণ সাফল্য গড়ার লক্ষ্যে।
মাউন্ট মেনথুসা অভিযান দিয়েই শুরু পর্বতারোহণ। তারপর থেকে একের পর এক সাফল্যের শিখর ছুঁয়েছে এই বঙ্গ তনয়া। মাউন্ট কিলিমাঞ্জারো অভিযানের উদ্দেশ্যে গত মাসে বেরিয়ে পড়েন তিনি। ১০ আগস্ট কিলিমাঞ্জারোর তিনটি পয়েন্টে সামিট করেন তিনি। ছোট থেকে অভাব ছিল নিত্যসঙ্গী। আর সেই অভাবকে জয় করে সম্পুর্ণ নিজের উদ্দোগ্যেই কিলিমাঞ্জারো সামিট সফল ভাবে সম্পন্ন করেন লক্ষ্মী। মায়ের অবদানের কথা প্রসঙ্গে গলা ধরে আসে লক্ষ্মীর। তাঁর কথায়, ছোট থেকেই মা আমাকে সব কাজে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন। ২০১২ তে ক্লাইম্বিং কোর্সে ভর্তি থেকে একের পর এক সামিট সব সময় সব ক্ষেত্রে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছেন মা। আগামী বছর হিমালয় জয়ে ফের এক নয়া রেকর্ড গড়তে চান লক্ষ্মী। হাবড়ার মেয়ে লক্ষ্মীর এহেন সাফল্যে গর্বিত গোটা বাংলা।
লক্ষ্মীর কথায়, ' ছোট থেকেই বাবা-মা'কে হাড়ভাঙা পরিশ্রম করতে দেখেছি। মা হাঁস-মুরগির ডিম বিক্রি করে সংসার খরচ চালাতেন। দাঁতে দাঁত চেপে লড়াইয়ের শুরুটা সেই তখন থেকেই। নিজেকে প্রমাণ করার একটা তাগিদ ছিল আমার। আর আজ নিজেকে প্রমাণ করে আর ৫ টা সাধারণ মেয়ের কাছে জীবন যুদ্ধে এগিয়ে চলার অনুপ্রেরণা জোগাতে পেরে আমি ধন্য'।