নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে গোপাল দলপতির দ্বিতীয় স্ত্রী হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের পরিচয় সামনে আসতেই শোরগোল পড়েছে। লাস্যময়ী হৈমন্তীর বাড়ি হাওড়ার বাকসাড়ায়। তিন তলা ওই বাড়িতে থাকেন তাঁর বাবা, মা, ছোট বোন। কিন্তু হৈমন্তী কোথায়? তাঁর মায়ের দাবি, দিন দশেক আগে মেয়ে বাড়িতে এসেছিল। তবে সেই দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছেন হৈমন্তীর প্রতিবেশীরা। তাদের সংযোজন, তিন আগেই হৈমন্তী এসেছিলেন বিলাসবহুল গাড়িতে চেপে।
এদিন সকাল থেকে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের ভিড় বাকসাড়ায় হৈমন্তীর বাড়ির সামনে। মেয়ের সমন্ধে জিজ্ঞাসা করতেই ক্ষোভ উগরে দেন বছর ৬২-র হৈমন্তীর মা। ছাপা শাড়ি, গায়ে জড়ানো আঁচল। মহিলা বলতে থাকেন, 'নিকুচি করেছে মেয়ের। ও আর নেই। আমার কাছে ও মরে গেছে। ওদের কারও সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ নেই।' কবে শেষ বড় মেয়ের সঙ্গে দেখা হয়েছিল? হৈমন্তীর মায়ের দাবি, দিন দশেক আগে।
গোপাল দলপতির সঙ্গে এই হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের বিয়ে হলেও বছর তিনেক আগে ডিভোর্স হয়ে যায়। এই হৈমন্তীর কাছেই নাকি রয়েছে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মোটা অঙ্কের টাকা। উত্তরবঙ্গের এক প্রভাবশালী নেতার আপ্ত সহায়কের অ্যাকাউন্ট থেকে গোপাল দলপতির অ্যাকাউন্টে ৩৯ লক্ষ টাকা ঢুকেছিল। সেই টাকা গোপাল ট্রান্সফার করেছিলেন হৈমন্তীর সংস্থার অ্যাকাউন্টে। বৃহস্পতিবার এমনটাই দাবি করেছেন এসএসসি দুর্নীতি মামলায় ধৃত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ।
জানা গিয়েছে, হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায় মডেলিং করতেন। পাড়ার মেয়ে সিরিয়াল, সিনেমা করেন বলেই জানতেন প্রতিবেশীরা। গভীর রাত পর্যন্ত বাকসাড়ায় হৈমন্তীর বাড়ির সামনে বিলাসবহুল সব গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখতেন তারা।
মধ্যবিত্ত বাড়ির মেয়ে হৈমন্তীর উত্থান নজরকাড়া। জানা গিয়েছে, মুম্বইয়ে একটি সংস্থা চালাতেন তিনি। রয়েছে ডালহৌসিতে একটি অফিস। বর্তমানে সেটি তালাবন্ধ। পরিবারের বাকিরা সাধারণভাবে থাকলেও হৈমন্তীর জীবন যাপন আড়ম্বরপূর্ণই ছিল। থাকলেন বাড়ির দোতলার একটি ঘরে। এহেন হৈমন্তীই এখন সিবিআই নজরে।