হাঁসখালি ধর্ষণ-কাণ্ডে আরও একজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। মূল অভিযুক্ত ধৃত ব্রজগোপাল গয়ালি ওরফে সোহেলকে জেরা করে প্রভাকর পোদ্দার নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার দিন জন্মদিনের পার্টিতে প্রভাকরও ছিল বলে জানিয়েছে সোহেল। উল্লেখ্য়, গত ৫ এপ্রিল নদিয়ার হাঁসখালি থানার শ্যামনগরে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে আগেই গ্রেতার করা হয়েছে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য সমর গয়ালির ছেলে সোহেলকে।
জানা গিয়েছে, সোমবার ভোররাতেই অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয় নির্যাতিতার। এর পর প্রমাণ লোপাটের জন্য জোর করে শ্মশানে নাবালিকার দেহ দাহ করে ফেলা হয়। পরে যাতে পোড়ানোর প্রমাণ না পাওয়া যায় সে কারণে জল দিয়ে গোটা শ্মশান ধুয়ে ফেলা হয় বলে অভিযোগ। নাবালিকার পরিবারের তরফে হাঁসখালি থানায় ঘটনার পাঁচদিন পর শনিবার অভিযোগ দায়ের হয়। তার পরই সোহেলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সোমবার তাঁকে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এদিকে, হাঁসখালি কাণ্ড নিয়ে রাজ্য রাজনীতি সরগরম। এই ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টে জোড়া জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। দুটিতেই সিবিআই তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে। আজ, মঙ্গলবার মামলার শুনানি রয়েছে। এদিকে, আজই তৃণমূল এবং বিজেপির প্রতিনিধি দল একে একে হাঁসখালিতে যাচ্ছে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপির পরিষদীয় দল দুপুর তিনটে নাগাদ নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করবে।
আরও পড়ুন ‘মুখ্যমন্ত্রীর ফিনাইল-ব্লিচিং দিয়ে মুখ পরিষ্কার করা উচিত’, হাঁসখালি কাণ্ডে মমতাকে তোপ শুভেন্দুর
বিজেপি যাওয়ার আগেই নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। দলের তরফে তাঁকে পরিবারের সঙ্গে দেখা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, গতকাল মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের জেরে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। ড্যামেজ কন্ট্রোলে তৃণমূলের তরফে মহুয়াকে দূত করে পাঠানো হচ্ছে। আর অন্যদিকে, হাঁসখালি কাণ্ডে রাজ্যপাল উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট ১৪ এপ্রিলের মধ্যে মুখ্যসচিবের কাছে তলব করেছেন জগদীপ ধনকড়।