হাঁসখালির মতো ঘটনা কখনওই বরদাস্ত করা হবে না। দল এধরনের কাজ কখনও সহ্য করে না। মঙ্গলবার নিহত নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পর সাংবাদিকদের জানালেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। এদিন তিনি পরিবারের সঙ্গে দেখা করে কথা বলেন। বেলা পৌনে বারোটা নাগাজ গিয়ে দেখা করেন মহুয়া। কথা বলেন নিহত কিশোরীর মা-বাবা এবং আত্মীয়দের সঙ্গে।
সংবাদমাধ্যমকে মহুয়া বলেন, "এটা অত্যন্ত ধিক্কারজনক ঘটনা। দুঃখজনক ঘটনা। পুলিশ যত দ্রুত সম্ভব এর তদন্ত করছে। যে এই কাজ করেছে, সেই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার এক বন্ধুকেও কাল রাতেই পুলিশ গ্রেফতার করেছে। মূল অভিযুক্ত এবং তার দুই বন্ধু এই ঘটনায় যুক্ত ছিল বলে জানা গিয়েছে।"
সাংসদের কথায়, "অভিযুক্তের রাজনৈতিক পরিচয় যাই হোক, সে দুষ্কৃতী। এমন কাজ সরকার বিন্দুমাত্র বরদাস্ত করবে না। নির্যাতিতা কিশোরীর দেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ পকসো আইনের বিভিন্ন ধারায় মামলা রুজু করেছে। নাবালিকার সম্মতিতেও যদি যৌন সম্পর্ক হয়ে থাকে তাও এটা ধর্ষণ। কে কী ভাবে এই পরিবারকে ভয় দেখিয়েছে, সেটাও পুলিশ খতিয়ে দেখছে।"
আরও পড়ুন হাঁসখালি ধর্ষণকাণ্ড: মমতার বক্তব্য ‘নজর ঘোরানোর চেষ্টা’, স্বতঃপ্রণোদিত মামলা গ্রহণের আর্জি হাইকোর্টে
এদিন হাঁসখালিতে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যের শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন অনন্যা চক্রবর্তী। তিনি বলেন, "পুলিশের ভূমিকায় আমরা খুশি। আমরা চাই শিশুটির পরিবার যেন সুবিচার পায়। দোষীদের যেন কড়া শাস্তি হয়, পুলিশকে সেটা দেখতে বলেছি।"
গতকাল মুখ্যমন্ত্রীর ধর্ষণ নিয়ে মন্তব্য প্রসঙ্গে অনন্যা বলেন, "আমি এখানে মুখ্যমন্ত্রীর মুখপাত্র হিসাবে আসিনি। আমি এসেছি রাজ্যের শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন হিসাবে। শিশুটি এবং তার পরিবার যেন সুবিচার পায় এবং দোষীরা যাতে কঠোর সাজা পায় সেটাই দেখতে বলেছি পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য নিয়ে কিছু বলার নেই।"