কী হয়েছিল সেই রাতে? কেন পুলিশে অভিযোগ দায়েরে দেরি হয়েছিল, এই প্রশ্ন তুলেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার এসবের জবাব দিতে গিয়েই বিস্ফোরক হাঁসখালির মৃতার বাবা।
হাঁসখালি ধর্ষণকাণ্ডে তোলপাড় গোটা রাজ্য। ঘটনার নিন্দায় সরব সবমহল। এরই মাঝে সেই দিন রাতে মেয়ের সঙ্গে কী ঘটেছিল তা জানালেন মৃতার বাবা। তাঁর দাবি, 'আমার মেয়ে জন্মদিনের পার্টি থেকে ফেরার পরই অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। রাতেই বাড়িতে এসেছিল বেশ কয়েকজন। তার মধ্যেই ছিল ব্রজগোপাল ও তার দলবল। ওরাই আমাদের বলে, কাউকে কিছু না জানাতে। মুখ খুললেই পুড়িয়ে মেরে ফেলারও হুমকিও দিয়েছিল। ফলে পুলিশে যাওয়া হয়ে ওঠেনি।'
হাঁসখালিতে নির্মম নির্যাতনের ঘটনা ৪ তারিখ রাতে ঘটলেও, পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয় ১০ এপ্রিল।যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। গত সোমবার নবনির্মিত মিলন মেলার উদ্বোধন মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন যে, 'মেয়েটি মারা গিয়েছে ৫ তারিখ, পুলিশ জেনেছে ১০ তারিখে। আপনারা বলুন, কোনওরকম অভিযোগ থাকলে ৫ তারিখই কেন পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের হল না?' এ দিন মুখ্যমন্ত্রীর তোলা সেই প্রশ্নেরই জবাব দিলেন মৃতার বাবা।
পাশাপাশি মমতা জানতে চেয়েছিলেন, কেন শংসাপত্র না দেখিয়েই শ্মশানে তড়িঘড়ি দাহ করা হয়েছিল মৃতার দেহ। এর জবাবে এ দিন হাঁসখালির মৃতার বাবা বলেছেন যে, 'ওই রাতেই আমার মেয়ে মারা গিয়েছিল। সেই সময় খবর হতেই ব্রজগোপাল ও ওর লোকেরাই আমার মেয়ের দেহ হাতে করে শ্মশানে নিয়ে চলে যায়। মেয়ের দাহ কাজ হয়েছে পরিবারের কারোর উপস্থিতি ছাড়াই।'
চলতি মাসের ৪ এপ্রিল জন্মদিনের পার্টিতে গিয়েছিল নদিয়ার হাঁসখালির নাবালিকা। গভীর রাতে এক মহিলা অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে ফিরিয়ে দিয়ে যায় বাড়িতে। জানা যায় যে তখন নাবালিকার রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। ভোর হওয়ার আগের মৃত্যু হয় তাঁর। এরপর ঘটনা জানাজানি হয় গত শনিবার। অভিযোগ যে, প্রেমিক ব্রজগোপাল গোয়ালার ধর্ষণের জেরেই ওই নাবালিকার মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সহ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার হাঁসাখালি ধর্ষণ মামলার তদন্ত সিবিআই-কে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন- 'কুর্সিতে থাকুন মমতাই-কিন্তু রাজ্যে জারি হোক ৩৫৫ ধারা', সওয়াল শুভেন্দুর