হাইকোর্টের নির্দেশ মেনেছে রাজ্য। হনুমান জয়ন্তীতে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাংলার তিন জায়গায় ৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবান্ন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকও জানিয়েছে, আদালতের নির্দেশ মোতাবেক রাজ্যের দাবি মেনে বাংলায় বহস্পতিবার কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হবে। বুধবার রাতেই চুঁচুড়া, কামারহাটি এলাকায় রুট মার্চ করেছে রাজ্য পুলিশের সশস্ত্র বাহিনী। এসবের মধ্যেই ভয়ঙ্কর দাবি করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, 'রেড রোড থেকে রামনবমীতে আশান্তির উস্কানি দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। খেজুরির ঠাকুরনগর ও দিঘা থেকে হনুমান জয়ন্তীতে হিংসায় উস্কানি দিচ্ছেন। তাই বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীকেই নজরবন্দি করা উচিত কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে।'
দু'দিন আগেই খেজুরিতে সরকারি সভায় রামনবমীতে হিংসা ছড়ানোর জন্য মুখ্যমন্ত্রী গেরুয়া শিবিরের দিকে আঙুল তুলেছিলেন। পাশাপাশি মমতা বলেছিলেন যে, 'আর একটা দিন আমি প্রশাসনকে সতর্ক করব, ৬ তারিখটা মনে রাখবেন। আমাদের ছেলে মেয়েরাও। আমরা বজরংবলীকে সম্মান করি। কিন্তু ওরা যেন দাঙ্গার নামে আবার কোনও প্ল্যান করতে না পারে। এটা মাথায় রেখে দেবেন। সারা ভারতবর্ষে ওরা এটা করছে।'
শুভেন্দু অধিকারীর 'মুখ্যমন্ত্রীকে নজরবন্দি' মন্তব্যের পাল্টা তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেছেন, 'আদালতের নিষেধ সত্ত্বেও শুভেন্দু অদিকারীই উস্কানিমূলক মন্তব্য করছেন, তাই ওনাকেই আগে জেলে পোড়া প্রয়োজন। উনি ভারসাম্য হারিয়েছেন। সুকান্ত মজুমদার মঙ্গলবার রাজ্যপালের কাছে গিয়েছিলেন ওনাকে ছাড়াই। তারপর থেকেই এলোমেলো বকছেন উনি।'
হনুমান জয়ন্তীতে অপ্রীতিকর অবস্থা এড়াতে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। বুধবার রাতে রাজ্যপাল বলেছেন, ''আমরা প্রস্তুত। আমরা ঐক্যবদ্ধ দল হয়ে বৃহস্পতিবার যেকোনও জরুরি অবস্থার মোকাবিলা করব। আমরা বলতে কেন্দ্রীয় সরকার, রাজ্য ও রাজভবনকে বোঝাচ্ছি। গাইকোর্টের নির্দেশ মানুষের স্বার্থবাহী, স্বাগত জানাচ্ছি। দুর্বৃত্তরা এবার গুহায় ঢুকে থাকবে। অশান্তি সৃষ্টিকারীদের বলব বৃহস্পতিবার ঘুমিয়ে থাকুন। বৃহস্পতিবার বাংলার মানুষের জন্য নতুন সূর্যোদর হবে।'
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রিষড়ায় গিয়ে হিংসাকারীদের কড়া বার্তা দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। কঠোর পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছিলেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান।