পরিবারের সদস্য করোনা আক্রান্ত হলে প্রতিবেশী তালাবন্ধ করে দিচ্ছে। করোনা সন্দেহে মৃতদেহ বাড়িতে পড়ে থাকছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। এবার করোনা সন্দেহে প্রতিবেশীদের রোষে বিমানসেবিকার পরিবারকে প্রায় গৃহবন্দী থাকতে হচ্ছে। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার শিবপুর এলাকায়। ওই বিমানসেবিকা মেইল করে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন।
কয়েকদিন আগে অফিস থেকে ফিরে পথের কুকুরদের খাওয়াচ্ছিলেন বেসরকারি উড়ান সংস্থার বিমানসেবিকা সুদীপা অধিকারী। সেই সময় তাঁকে হেনস্থা করা হয় বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন তিনি। এমনকী শারীরিক নিগ্রহ করার চেষ্টাও করা হয়। এলাকায় করোনা ছড়াতে পারে বলে অভিযোগ তুলে ওই বিমানসেবিকা ও তাঁর পরিবারকে হেনস্থা করা হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার থেকে কার্যত ওই পরিবার গৃহবন্দী হয়ে রয়েছেন। তরুণী কোভিড ক্যারিয়ার বলে অভিযোগ তুলে অযথা হয়রানির শিকার হচ্ছেন হাওড়ার শিবপুর নীলরতন মুখোপাধ্যায় লেনের এই পরিবারের সদস্যরা।
সুদীপাদেবীর দাবি, কোভিড বিধি মেনেই তাঁরা ডিউটি করেন। বাড়ি থেকেই বিমানবন্দর যাতায়াত করেন। বিমানসেবিকা পদে কর্মরত ওই মহিলার ওপর মানসিক চাপ সৃষ্টি করছে এলাকাবাসীর একাংশ। করোনা ছড়াতে পারে এই আশঙ্কায় তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে বাড়ির বাইরে বেরতে নিষেধ করেন প্রতিবেশীদের একাংশ। তা সত্বেও তিনি ডিউটি যাচ্ছিলেন। এই নিয়ে একাধিকবার প্রতিবেশীদের হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে ওই পরিবারকে। মোদ্দা কথা তিনি প্রকাশ্যে ঘুরলে করোনা ছড়াবে তাই বাড়ির বাইরে বেরনো যাবে না বলে শাসায় প্রতিবেশীরা। এই বিষয়ে সুরাহা চেয়ে ওই বিমানসেবিকা পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন।
অভিযোগ, ওই তরুণীর বাব-মা এলাকায় দোকান, বাজারেও যেতে পারছেন না। তিনি রাস্তার কুকুরদের খাওয়াতে গিয়েও নিগৃহীত হয়েছেন। বাবা-মায়ের দিকেও তেড়ে গিয়েছেন হেনস্থাকারীরা। রীতিমত পাড়াছাড়া করার হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে খবর, পুরো বিষয়টি তাঁরা খতিয়ে দেখছেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন