সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হাঁসখালি ধর্ষণকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত ব্রজগোপালের গোয়ালার বাবা সমরেন্দু গোয়ালা। ধৃত এলাকার তৃণমূল নেতা বলেও পরিচিত। কেন্দ্রীয় গোয়ান্দা সংস্থা সূত্র খবর, ঘটনার পর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন সমরেন্দু গোয়ালা। অবশ্য শেষ রক্ষা হল না। তাঁকে গ্রেফতারই করল সিবিআই। আপাতত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সমরেন্দু গোয়ালাকে সিবিআই ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁকে জেরা করে হাঁসখালিকাণ্ডে একাধিক প্রশ্নের জবাব মিলতে পারে বলেই মনে করছে গোয়েন্দারা।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে হাঁসখালিতে নাবালিকা ধর্ষণ ও মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। তদন্তে এগোতেই জানতে পারা যায় যে, এইঅমানবিক ঘটনায় মূল অভিযুক্ত স্থানীয় তৃণমূল নেতা সমরেন্দুর গোয়ালার ছেলে ব্রজগোপাল। আগেই পুলিশ ব্রজগোপাল ও তাঁর বন্ধু প্রভাকর পোদ্দারকে গ্রেফতার করেছিল। পরে সিবিআইয়ের হাতে তাঁদের তুলে দেওয়া হয়েছে।
হাঁসখালির মৃতার পরিবারের সঙ্গে সিবিআই গোয়েন্দারা কথা বলেছিলেন। সেখানেই নাকি মৃতার পরিবারের তরফে বলা হয়েছিল যে, ৪ঠা এপ্রিল ব্রজগোপাল গোয়ালার জন্মদিনের অনুষ্ঠান থেকে বাড়ি ফেরার পর থেকে তাঁদের মেয়ের পেটে যন্ত্রণায় ছটফট করছিল। রক্তপাত শুরু হচ্ছিল। এরমধ্যেই ব্রজগোপাল ও তাঁর বন্ধুরা নির্যাতিতার বাড়িতে যায়। পুলিশকে কোনও কথা বললে ফল খারাপ হবে বলে হুমকি দিয়েছিল বলে দাবি মৃতার বাবা, মায়ের। পরে ভোর রাতে মাবালিকার মৃত্যু হয়। অভিযোগ, এরপর ভোররাতেই অভিযুক্তদের তরফেই দেহ শ্মশানে নিয়ে গিয়ে দাহ করা হয়েছে। প্রশ্ন ওঠে, ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়া কীভাবে দেহ দাহ কারার অনুমতি মিলল? হুমকির জেরে এসব আগে পুলিশকে জানানো সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছিলেন মৃতার মা, বাবা।
সোমবারই সিবিআই জানিয়েছিল, হাঁসখালির ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করার আগে তাকে গাঁজা সহ অন্যান্য মাদক খাওয়ানো হয়েছিল। তার পর তাঁকে তিন জন ধর্ষণ করে। রাস্তায় পড়েছিল নাবালিকা। পরে স্থানীয় এক মহিলা তাকে স্কুটিতে বাড়ি পৌঁছে দেয়।