Advertisment

'কালীঘাটের কাকু'র কীর্তিতে চক্ষু চড়ক গাছ! আদালতে বিস্ফোরক ইডি

'কাকু' যেন দুর্নীতির দুনিয়ার মেঘনাদ!

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
EDs letter to SSKM Hospital authorities

'কালীঘাটের কাকু' সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র।

ইডি-র তদন্তে 'কালীঘাটের কাকু' ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, হাওয়ালার মাধ্যমে প্রায় ১১ কোটি টাকা নিজের বিভিন্ন সংস্থার অ্যাকাউন্টে জমা করেছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। শুধু তাই নয়, হাওয়ালার কোটি টাকার বিনিময়ে প্রচুর জমি, সম্পত্তি কিনেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংস্থার এই কর্মী। 'কাকু'র নামে রয়েছে ১০০টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টও। তাঁর নিয়ন্ত্রণাধীন একাধিক সংস্থা রয়েছে। এছাড়াও তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তকে ভুল পথে চালনা করার অভিযোগও এনেছে ইডি। বুধবার আদালতের নির্দেশে ২৮ জুন পর্যন্ত 'কালীঘাটের কাকু'কে জেল হেফাজতেরথাকতে হবে।

Advertisment

তবে এদিন জোকার ইএসআইয়ে স্বাস্থ্যপরীক্ষার পর ব্যাঙ্কশাল আদালতে যাওয়ার সময় নিজেরই তোলা অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন কাকু'! সুজয়কৃষ্ণ বলেন, 'সাহেবের নাম বলার জন্য় কোনও চাপ দেওয়া হয়নি।' অর্থাৎ ইডি তাঁকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলতে চাপ দিচ্ছে বলে যে অভিযোগ আগে করেছিলেন তিনি, তা এদিন নস্যাৎ করেছেন স্বয়ং 'কালীঘাটের কাকু'।

তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিোগ ওঠার পরই ঘনিষ্ঠ সিভিক ভলান্টিয়ার রাহুল বেরাকে পাঠানো একাধিক অ্যাডমিট কার্ড, রেজাল্ট মুছে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন সুজয় ভদ্র। ইতিমধ্যেই রাহুলকে জেরা করেছে এজেন্সি। এমনকী ফোন, হোয়াটঅ্যাপ ঘেঁটে সেই তথ্য উদ্ধারও নাকি করেছে ইডি। এবার সেই স্বরের সঙ্গে 'কালীঘাটের কাকু'র স্বরের নমুনা মিলিয়ে দেখতে চায় কেন্দ্রীয় এজেন্সি। তদন্তকারীরা আরও দাবি করেছেন, মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে পুরনো যোগাযোগের কথা অস্বীকার করেছিলেন কালীঘাটের কাকু। কিন্তু জেরার মুখে ইডির প্রমাণের মুখে তিনি স্বীকার করে নেন ২০১৮ সাল থেকে তিনি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্যকে চেনেন।

abhishek banerjee Enforcement Directorate WB SSC Scam tmc kalighater kaku
Advertisment