পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজের টাকা দীর্ঘদিন ধরে দেওয়া বন্ধ রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। যার জেরে প্রায়শই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে রাজ্যের শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীদের। বাংলায় ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। এবার সেই মামলার শুনানিতে ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ নিয়ে কেন্দ্রের রিপোর্ট তলব করল হাইকোর্ট।
কলকাতা হাইকোর্টে ১০০ দিনের কাজ নিয়ে জনস্বার্থ মামলার শুানাতিতে মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হীরন্ময় ভট্টাচার্যের বেঞ্চ কেন্দ্রকে ২০ জুনের মধ্যে রিপোর্ট জমার নির্দেশ দিয়েছে। রাজ্যকেও এরপর নিজেদের বক্তব্য জানাতে এক সপ্তাহ সময় দেওয়া হবে। ওই সময়ের মধ্যে রাজ্য সরকার কেন্দ্রের দেওয়া রিপোর্টের প্রেক্ষিতে নিজেদের মত জানাতে পারবে। আগামী জুলাই মাসে ফের হাইকোর্টে এই মামলার শুনানি হবে।
আরও পড়ুন- প্রবল গরমে সেদ্ধ শরীর! জ্বালাপোড়া দশা আর ক’দিন? বর্ষা নিয়ে ধুঁয়াধার আপডেট
এদিন কলকাতা হাইকোর্টে মামলার শুনানির সময় রাজ্যের তরফে জানানো হয়, ২০২১ সাল থেকে রেগার টাকা দেওয়া বন্ধ রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে রাজ্যের এই বক্তব্যের পাল্টা অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেলের অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি হয়েছে। ভুয়ো জবকার্ড তৈরি করে কোটি কোটি টাকা কার্যত লুঠ হয়েছে বলে অভিযোগ এনেছেন তিনি।
আরও পড়ুন- বোনের বিয়ে দেখাই হল না কৃষ্ণের! বুক চাপড়ে অদৃষ্টকেই দুষছেন মা যশোদা
এরাজ্যে ১০০ দিনের কাজে কেন্দ্র টাকা দেওয়া বন্ধ রাখায় মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। ১০০ দিনের কাজে নিযুক্ত জবকার্ডধারীদের বিকল্প কর্মসংস্থান তৈরিরও উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রাজ্যের বিভিন্ন দফতরে নানা কাজে লাগানো হচ্ছে জবকার্ডধারীদের।