মতুয়াগড় ঠাকুরনগরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফরের আগে চলা অশান্তির ঘটনায় এবার রাজ্য পুলিশকে বেনজির নির্দেশ কলকাতা হাইেকার্টের। সেদিনের গণ্ডগোলের ঘটনায় হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এবার সিট তৈরি করে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের।
ঠাকুরনগরে গত ১১ জুন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফরের আগে চূড়ান্ত অশান্তি হয়। সেই ঘটনায় এবার কড়া পদক্ষেপ কলকাতা হাইকোর্টের। রাজ্য পুলিশের ডিজিকে শান্তনু ঠাকুরের করা মামলার প্রেক্ষিতে সিট তৈরির নির্দেশ আদালতের। এমনকী এক্ষেত্রে মামলাকারীর অভিযোগ এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। এডিজি পদমর্যাদার অফিসারকে দিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
এরই পাশাপাশি অশান্তির ঘটনায় ধৃতদের জামিনে মুক্তি দিতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত ১১ জুন ঠাকুরবাড়ির মন্দির ও চাঁদপাড়া হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে তদন্তের অগ্রগতি রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন- সুপ্রিম কোর্টে বড় ধাক্কা কমিশন ও রাজ্যের, কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই পঞ্চায়েত ভোট
উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত ভোটের আগে ২ মাস ধরে তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচি সেরেছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কর্মসূচির মধ্যেই গত ১১ জুন ঠাকুরনগরে গিয়েছিলেন অভিষেক। তবে তৃণমূলের শীর্ষ নেতার সফর ঘিরে তুলকালাম অশান্তি হয় ঠাকুরনগরে। বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে রীতিমতো সংঘর্ষ বেঁধে যায়।
আরও পড়ুন- রাজভবনে পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালনের অনুষ্ঠান! ক্ষুব্ধ মমতার চিঠি রাজ্যপালকে, কী লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী?
ঠাকুরবাড়ির মূল মন্দিরে তালা পড়ে যায়। এরই জেরে ওই মন্দিরে ঢুকতেই পারেননি অভিষেক। পাশের মন্দিরে পুজো দিয়ে ফিরতে হয়েছে তাঁকে। মন্দির চত্বরে তুমুল সংঘর্ষ বেঁধে যায়। বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। পরে সেই উত্তেজনার রেশ গিয়ে পড়ে চাঁদপাড়া হাসপাতালে। সংঘর্ষে আহতদের সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানেও বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে জড়ায়। এই অশান্তির পরিপ্রেক্ষিতে উপযুক্ত ব্যবস্থার দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর।