এবছর রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বেনজির হিংসা দেখেছিল বাংলা। কার্যত মুড়ি-মুড়কির মতো প্রাণ গিয়েছিল সাধারণ মানুষের। পঞ্চায়েত ভোট পর্বে ৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছিলেন বিরোধীরা। ভোটে হিংসা নিয়ে পরবর্তী সময়ে রাজ্য সরকার নিহতদের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ ও পরিবারের একজনকে চাকরির প্রতিশ্রুতি দেয়। তবে পঞ্চায়েত ভোটের পর ২ মাস কেটে গেলেও রাজ্যের তরফে সেই সাহায্য বণ্টনের ক্ষেত্রে অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ। এই অভিযোগে আদালতে মামলা করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই এবার রাজ্যের জবাব তলব কলকাতা হাইকোর্টের।
ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রক্তের স্রোত বয়ে গিয়েছে গ্রামীণ বাংলায়। শাসক থেকে বিরোধী, ভোট হিংসার বলি সব দলেই। বিরোধীদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া থেকে শুরু করে ভোট পরবর্তী সময়েও সংঘর্ষের জেরে ৫০-এরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। এদিন হাইকোর্টে অধীর চৌধুরীর আইনজীবী জানান, পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র কের সংঘর্ষে ৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
আরও পড়ুন- ‘পরেরবার রসগোল্লা নিয়ে আসব’, বার্সেলোনায় প্রবাসী ভারতীয়দের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী
পরবর্তী সময়ে রাজ্য সরকার ভোট হিংসায় নিহতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণ ও তাঁদের পরিবারের একজনকে হোমগার্ডের চাকরির প্রতিশ্রুতি দেয়। শুধু তাই নয়, ভোট সন্ত্রাসের জেরে আহদের জন্যও ক্ষতিপূরণ ঘোষণা হয়।
তবে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির আইনজীবীর অভিযোগ, রাজ্য সরকারের এই সাহায্য থেকে এখনও বঞ্চিত রয়ে গিয়েছেন বেশ কিছু পরিবার। এমনকী যে সাহায্য ইতিমধ্যেই করা হয়েছে তাও যথাস্থানে পৌঁছোয়নি বলে দাবি তাঁর। তাঁদের ক্ষতিপূরণের বিষয়িটি কী হবে তা জানতে চান তিনি। সোমবার অধীর চৌধুরীর করা এই মামলাটি ওঠে কলকাতা হাইেকার্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে।
আরও পড়ুন- তেহট্টে আবারও উড়ল লাল নিশান, বাকিদের ধারে কাছেই ঘেঁষতে দিল না বামেরা
পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় নিহত ও আহতদের পরিবার ক্ষতিপূরণ পেয়েছে কিনা এদিন তা জানতে জানতে চান প্রধান বিচারপতি। তারপরেই এব্যাপারে রাজ্যকে হলফনামা জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। রাজ্য সরকারকে এই হলফনামা পেশ করতে ৮ দিন সময় দেওয়া হয়েছে। আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর রাজ্যকে হলফনামা জমা দিতে হবে।
আরও পড়ুন- তাকলাগানো মণ্ডপ, অভিনবত্বের ছোঁয়া ঠাকুরেও! হলদিয়ায় জমজমাট বিশ্বকর্মা পুজো