পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করল না কলকাতা হাইকোর্ট। বাড়ানো হল না মনোনয়ন জমার সময়সীমা। এব্যাপারে যাবতীয় সিদ্ধান্তের ভার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের উপরেই ছেড়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ উচ্চ আদালতের। স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রেখে ভোট করাতে হবে বলে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে হাইকোর্ট।
কলকাতা হাইকোর্টে ভোটের নিরাপত্তা সিদ্ধান্তে জোর ধাক্কা রাজ্য ও কমিশনের। বিরোধীদের দাবিকে কার্যত মান্যতা দিয়েই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রেখে পঞ্চায়েত ভোট পরিচালনা ইস্যুতে নজিরবিহীন রায় হাইকোর্টের। তবে এর আগে রাজ্য নির্বাচন কমিশন যে দিন পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে বলে জানিয়েছিল তাতে হস্তক্ষেপ করেনি হাইকোর্ট। এব্যাপারে সিদ্ধান্তের ভার কমিশনের হাতেই ছেড়েছে হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন- ‘বোন’ মমতাকে ‘দিদি’র ভালোবাসার উপহার, আম পাঠালেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে পঞ্চায়েত ভোটের দাবি জানিয়েছিল বিরোধীরা। এদিন কার্যত তাদের দাবিকে মান্যতা দিল হাইকোর্ট। এর আগে সাতটি জেলাকে স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করেছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সেই সাত জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করাতে হবে বলে স্পষ্ট করে জানিয়েছে হাইকোর্ট। স্পর্শকাতর জেলা হিসেবে চিহ্নিত উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার একাংশ পূর্ব মেদিনীপুর, হুগলি, মুর্শিদাবাদ, জলাইগুড়ি ও বীরভূমে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
এছাড়াও বাকি জেলাগুলিতে পরিস্থিতি বুঝে আধাসেনা মোতায়েন নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরই পাশাপাশি ভোটকর্মীদের সুরক্ষা দিতে প্রয়োজনীয সব পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে।
স্পর্শকাতর জেলাগুলিতে এখনই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে বলে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কথা বলে আধাসেনা আনানোর ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরই পাশাপাশি ভোটের কাজে সিভিক ভলান্টিয়ারদের ব্যবহার করা নিয়ে গাইডলাইন মোতাবেক কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনকে। সব বুথে সিসিটিভি বসাতে হবে এবং প্রয়োজনে বুথে-বুথে ভিডিওগ্রাফি করারও নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত।