Teachers’ Recruitment: মঙ্গলবার ধুমধাম করে ঘোষণা হয়েছিল পুজোর আগেই প্রাথমিক টেটের ফলপ্রকাশ। জুলাইয়ে তোলা হবে কাউন্সেলিং নির্ঘণ্ট। অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মোতাবেক উৎসবের মরশুমে শিক্ষক নিয়োগে বড়সড় পদক্ষেপ নিয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। কিন্তু বুধবার ফের আইনি জটে বিশ বাঁও জলে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া। উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মাম্লা দায়ের হয়। সেই মামলার শুনানিতে এদিন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ৯ জুলাই ধার্য করেছে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ।
জানা গিয়েছে, হাইকোর্টের এই অবস্থানে অথৈ জলে প্রায় ১৪ হাজার ৩৩৯টি পদে শিক্ষক নিয়োগ। আইনি জটিলতা কাটিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু রাখতে কী করণীয়? বুধবার বিকেলে জরুরি বৈঠকে ঠিক করবে স্কুল সার্ভিস কমিশন। মঙ্গলবার পর্ষদের ঘোষণা মোতাবেক ওয়েবসাইটে ইন্টারভিউ তালিকা প্রকাশ করা হয়। কিন্তু অভিযোগ, ইন্টারভিউ তালিকা তৈরিতে বেনিয়ম করা হয়েছে। মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী ফিরদৌস শামিম আদালতে বলেছেন, ‘বেশি নম্বর পেয়েও অনেকে ইন্টারভিউতে ডাক পায়নি। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নেই।‘
আইনি জটিলতায় বেশ কয়েক বছর রাজ্যে প্রাথমিক এবং উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ আটকে। গত ২১ জুন মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে জানান, প্রাথমিক এবং উচ্চ প্রাথমিক মিলিয়ে পুজোর আগেই সাড়ে ২৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগ করবে রাজ্য সরকার। পুজোর পর আরও ৭ হাজার শিক্ষক নেওয়া হবে। মঙ্গলবার পর্ষদের তরফে বলা হয়, যোগ্যতা অনুযায়ী, মেধার ভিত্তিতে উত্তীর্ণ সকলেই নিয়োগপত্র হাতে পাবেন। পর্ষদ ওয়েবসাইট এবং সংবাদ মাধ্যমের বিজ্ঞপ্তিতে নজর রাখতে আবেদন করা হয়। এর বাইরে মাধ্যমে চোখ রেখে বিভ্রান্তি না ছড়াতে অনুরোধ করা হয় পর্ষদের তরফে।
কিন্তু হাইকোর্টের বুধবারের নির্দেশ সব পদক্ষেপে আইনি বেড়া পরিয়ে দিল। এমনটাই মনে করছেন শিক্ষাবিদরা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন