বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আঙুল তুলেছে বিজেপি, সিপিএম। গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ৯ জনের প্রাণহানি হয়েছে। বিজেপির অভিযোগ, তাঁদের ৬ জন কর্মী খুন হয়েছেন। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকে তাদের অভিযোগ। এই ঘটনায় সরাসরি রাজ্যপাল ও রাজ্যের মুখ্যসচিবকে অভিযোগ জানিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানিয়েছেন দিলীপ ঘোষরা। এবার নড়েচড়ে বসল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকও। নবান্নের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে কেন্দ্র।
যদিও তৃণমূলের পাল্টা দাবি, দলের অন্তর্দ্বন্দ্বকে তৃণমূলের ঘাড়ে ঠেলতে চাইছে বিজেপি। বিজেপির আইটি সেল ভুয়ো খবর, ভিডিও-ছবি পোস্ট করে অশান্তি পাকাচ্ছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের। রাজ্য পুলিশের তরফে ঠিক কতজনের মৃত্যু হয়েছে তা নিয়ে এখনও স্পষ্টত কিছু জানানো হয়নি। বিজেপির দাবি, তাদের ৬ জন কর্মী খুন হয়েছেন। অন্যদিকে, তৃণমূলের অভিযোগ, ৪ জন কর্মী-সমর্থক খুন হয়েছেন। ভাঙড়ে এক দলীয় কর্মী বোমার আঘাতে খুন হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে আইএসএফ। সবমিলিয়ে হতাহতের সংখ্যা দশ ছাড়িয়ে যাচ্ছে। তবে অনেক ক্ষেত্রেই অভিযোগের স্বপক্ষে প্রমাণ নেই।
সোমবার সন্ধেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের টুইটার হ্যান্ডেলে জানানো হয়, মন্ত্রকের তরফে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে ভোট পরবর্তী হিংসায় বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মীদের নিশানা করার ঘটনায় রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। তবে বিরোধী রাজনৈতিক দল বলতে এখানে পরোক্ষে বিজেপির কথাই বলা হয়েছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের। প্রসঙ্গত, সোমবারই সাংবাদিকদের সামনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবাইকে শান্ত, সংযত থাকার অনুরোধ করেন। বলেন, বিজেপি কিছু মিথ্যা ঘটনা, পুরনো দাঙ্গার ছবি দিয়ে অপপ্রচার করবে। কেউ ফাঁদে পা দেবেন না।
এদিকে, আক্রান্ত কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে আজ, মঙ্গলবার ২ দিনের সফরে রাজ্যে আসছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। এদিকে, রাজনৈতিক হিংসার প্রতিবাদে আগামী, ৫ মে বুধবার দেশজুড়ে ধরনায় বসবে বিজেপি। পশ্চিমবঙ্গে হিংসার ঘটনাকে জাতীয় স্তরে প্রচারে আনতে কোমর বাঁধছে বিজেপি। সোমবার রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “দলের কর্মীরা খুন হচ্ছেন, আক্রান্ত হচ্ছেন, পার্টি অফিস ভাঙচুর হচ্ছে। এগুলো কাম্য নয়। এরকম চলতে থাকলে আমরা আন্দোলনে নামব।”