গত ৩০ মার্চ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগের সুরই শোনা গিয়েছিল নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত কুন্তল ঘোষের মুখে। দাবি করেছিলেন যে, 'এজেন্সি বিভিন্নভাবে ভয় দেখিয়ে আমাদের থেকে দলের নেতাদের নাম বলানোর চেষ্টা করছে।’ এরপর সাংবাদিকরা আবার তাঁকে প্রশ্ন করেছিলেন, 'অভিষেকের নাম?' তখন কুন্তল উত্তর দিয়েছিলেন, 'অবশ্যই অবশ্যই।' কেন্দ্রীয় এজেন্সির এই 'চাপ' ইস্যুতে এদিন ফের বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন কুন্তল ঘোষ।
কী বলেছেন কুন্তল?
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলতে চাপ দিচ্ছেন তদন্তকারীরা। এমনই অভিযোগ তুলে আইনজীবীর মাধ্যমে আলিপুর আদালতের বিচারককে চিঠি দিলেন নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষ। আলিপুর আদালত চত্বরে বহিষ্কৃত যুব তৃণমূল বলেন, 'অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলাতে চেয়ে চাপ দিচ্ছে এজেন্সি। সেটাই লিখিত আকারে আদালতকে জানিয়েছি।'
কেন এই অভিযোগ আগে জানানো হয়নি? বিচারকের প্রশ্নের জাবেব কুন্তলের আইনজীবী জানিয়েছেন, তাঁর মক্কেলের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। ফলে অভিযোগ জানানো যায়নি এতদিন। ভারতীয় আইনের ৪১-ডি ধারা উল্লেখ করে কুন্তলের আইনজীবী আবেদন জানানযে, তাঁদের মক্কেলকে যখন জেলে জেরা করা হবে সেদিন যেন আইনজীবীদের সামনে থাকতে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন- নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রভাবশালীরা: নীরব কুন্তল! ‘ওর কাছে নতুন নাম শুনুন’- কাকে ইঙ্গিত তাপসের?
কুন্তলের অভিযোগ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, 'কুন্তল আসলে দুর্নীতির টাকা রক্ষা করার জন্য প্রভুর লিখে দেওয়া চিত্রনাট্য বলছেন। এসবই আসলে নাটক, নজর ঘোরানোর চেষ্টা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যাই এসব করাচ্ছেন।'
গত ২৯ মার্চ শহিদ মিনারে তৃণমূলের ছাত্র-যুবদের সভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, সারদা কেলেঙ্কারি মামলায় ধৃত মদন মিত্র এবং কুণাল ঘোষকে জোর করে তাঁর নাম বলতে চাপ দেওয়া হয়েছিল। এরপর দিনই শাসক দলের বহিষ্কৃত যুব তৃণমূল নেতা তথা এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত কুন্তল ঘোষের মুখে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগের সুরই প্রতিফলিত হয়েছিল।