Advertisment

করোনা ভ্যাকসিনের আগাম প্রস্তুতি, তালিকা তৈরি হচ্ছে স্বাস্থ্যকর্তা থেকে কর্মীদের

ঝুঁকির কাজে আপাতত কিছুটা হলেও উৎসাহ বাড়ল বলে মনে করছেন স্বাস্থ্যকর্তারা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

ফাইল চিত্র

রাজ্যে স্বাস্থ্যকর্মীদের তালিকা প্রস্তুতের কাজ চলছে। ইতিমধ্যে রাজ্যের শীর্ষ স্তরের স্বাস্থ্য অধিকর্তা থেকে অন্যান্য সমস্ত স্বাস্থ্যকর্মীরা তাঁদের ব্যক্তিগত তথ্য পাঠিয়ে দিয়েছে সংশ্লিষ্ট দফতরে। শুধু সরকারি নয়, বেসরকারি ক্ষেত্রের স্বাস্থ্য কর্মীদের তালিকা তৈরির প্রস্তুতের কাজ চলছে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের এক শীর্ষ কর্তা বলেন, "করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য আগাম প্রস্তুতি হিসেবে এই তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকার সব রাজ্যকেই স্বাস্থ্যকর্মীদের তালিকা তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছে। কারণ, ভ্যাকসিন বাজারে এলে প্রথম পর্যায়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের দেওয়ার কথা ভাবা হয়েছে। সেক্ষেত্রে সেই সংখ্যা কত হতে পারে সেজন্যই এই ব্যস্ততা। আমিও তথ্য জমা দিয়েছি।"

Advertisment

বিশ্বে নানা দেশে করোনা ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চলছে। কতগুলি প্রতিষ্ঠান সেক্ষেত্রে অনেকটা এগিয়েও গিয়েছে। তবে এখনও সাধারণ মানুষের শরীরে প্রয়োগ করার ছাড়পত্র মেলেনি। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, খুব শীঘ্রই বাজারে আসতে পারে করোনা ভ্যাকসিন। তারই প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তবে সরকারি স্বাস্থ্যকর্মী ছাড়াও বেসরকারি হাসপাতাল, নার্সিং হোম, প্যাথলজি ল্যাব সহ বিভিন্ন বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও এই সুযোগ মিলবে বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন কেন বিতর্ক বাড়ছে প্লাজমা থেরাপি নিয়ে?

জানা গিয়েছে, স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যক্তিগত তথ্য চেয়ে পাঠানো হচ্ছে। সেই তালিকায় রয়েছে আধার কার্ড ব্যতীত ফোটো আইডেন্টিটি। তা প্যান কার্ড বা ভোটার কার্ড হতে পারে। জন্ম তারিখ, মোবাইল নম্বর। সেই মোবাইল নিজের কীনা তা-ও জানাতে বলা হয়েছে। পোস্টাল ঠিকানা। এছাড়া স্বাস্থ্যকর্মীদের এমপ্লয়িজ কোড। ইতিমধ্যে অধিকাংশ স্বাস্থ্যকর্মী তাঁদের ব্যক্তিগত তথ্য জমা দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ লক্ষ পেরিয়ে গিয়েছে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১লক্ষ ২০ হাজারের বেশি মানুষের। প্রতিদিন গড়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার। এরাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিন গড়ে ৪ হাজার। দেশে বা রাজ্যে করোনা সংক্রমণ কমে যাওয়ার কোনও লক্ষণ আপাতত দেখা যাচ্ছে না। করোনা প্রতিরোধে মাস্ক বা দূরত্ববিধি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মানা হচ্ছে না। দুর্গাপুজোয় মণ্ডপে ঢোকা নিষিদ্ধ করে কলকাতা হাইকোর্ট পুজোর ভিড় আটকাতে সমর্থ হয়েছে। কিন্তু রাজনৈতিক বা অনেকে ক্ষেত্রেই তা সম্ভবপর হচ্ছে না। এরইমধ্যে স্বাস্থ্যকর্মীদের তালিকা প্রস্তুত করার কাজ কিছুটা হলেও স্বস্তি জোগাচ্ছে তাঁদের। ঝুঁকির কাজে আপাতত কিছুটা হলেও উৎসাহ বাড়ল বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য কর্তারা।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Advertisment