Advertisment

মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে বিনামূল্যে হৃদ প্রতিস্থাপন মেডিক্যাল কলেজে

সমস্ত ওষুধ থেকে অস্ত্রোপচারের খরচ মকুব করা হয়েছে। পরবর্তীকালে যা খরচ হবে তার সবটাই জোগাবে রাজ্য সরকার। প্রায় দশ লক্ষ টাকার কাছাকাছি খরচ হয়েছে ইতিমধ্যে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

প্রতীকি ছবি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

একের পর এক হৃদ প্রতিস্থাপনে বারংবার শিরোনাম জুড়ে থাকছে কলকাতা তথা রাজ্যের নাম। তবে এবার ছবিটা খানিকটা অন্য। কারণ গোটা দায়িত্ব এবার সরকারের কাঁধে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নির্দেশে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খরচ জোগাচ্ছে রাজ্য ।

Advertisment

সুত্রের খবর, শুক্রবার রাতে এসএসকেএম হাসপাতালে ব্রেন ডেথ হয় দক্ষিণ ২৪ পরগণার পুজালির বাসিন্দা সৈকত লাট্টুর। বয়স ৩২। পরিবার সিদ্ধান্ত নেন দুটি কিডনি, লিভার, হৃদযন্ত্র সহ মোট ছটি অঙ্গ দান করবেন তাঁরা। পশ্চিম বর্ধমানের রাণীগঞ্জের ৩৮ বছর বয়সের এক বাসিন্দার শরীরে প্রতিস্থাপন করা হল সৈকতের এক জীবনদায়ী অঙ্গ।

গতকাল রাত আটটা নাগাদ সরকারিভাবে ঘোষণা করা হয় সৈকত লাট্টুর ব্রেন ডেথের কথা। পরিবারকে জানানো হয় ব্রেন ডেথ হলেও একাধিক অঙ্গ প্রত্যঙ্গ সচল রয়েছে। তারপরই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নেন সৈকতের পরিবার। পরবর্তী ধাপে অবশ্য পরীক্ষা করে জানা যায়, ৭৫ শতাংশ খারাপ হয়ে গিয়েছিল সৈকতের লিভার। সে কারণে প্রতিস্থাপন করা সম্ভব হয়নি ওই অঙ্গ। দুটি চোখ পৌঁছে গেছে শংঙ্কর নেত্রালয়তে। পাশাপাশি এসএসকেএম হাসপাতালের স্কিন ব্যাঙ্কে রাখা হয়েছে সৈকতের ত্বক।

আরও পড়ুন: রাজ্যে প্রথম চারটি অঙ্গ প্রতিস্থাপন চারজনের শরীরে

পরিবারের তরফ থেকে সবুজ সংকেত পেলে রাজ্যের অঙ্গ প্রতিস্থাপন সংস্থা এবং স্বাস্থ্য দপ্তর খোঁজা শুরু করে, এই মুহুর্তে রাজ্যে কার এই জীবনদায়ী যন্ত্রের প্রয়োজন রয়েছে। মাত্র ছয় মিনিটে কলকাতার জনবহুল রাস্তায় গ্রীন করিডোর করে নিয়ে যাওয়া হয় হৃদযন্ত্রটি। মেডিক্যালে পৌছায় ৯.৫৫ মিনিটে। সকাল ১১ টা থেকে শুরু হয় অস্ত্রোপচার।

মেডিক্যাল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যাপক আশীষ বসু বলেন, আজ দুপুরেই শেষ হয়েছে অস্ত্রোপচার। আইসিইউ-তে রাখা হয়েছে গ্রহণকারীকে। ডাক্তার প্লাবন মুখার্জি এবং তার দল অস্ত্রোপচার করেন। তবে এখনও তা সফল কিনা তা জানা যায় নি। কারণ এরপর সাধারণত সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে সমস্ত ওষুধ থেকে অস্ত্রোপচারের খরচ মকুব করা হয়েছে। পরবর্তীকালে যা খরচ হবে তার সবটাই জোগাবে রাজ্য সরকার। প্রায় দশ লক্ষ টাকার কাছাকাছি খরচ হয়েছে ইতিমধ্যে।

সারা ভারতের মধ্যে রাজ্যস্তরে প্রথম মাইলস্টোন গড়ল পশ্চিমবঙ্গের সরকারি হাসপাতাল। মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছিলেন, খরচের কথা না ভেবেই সমস্ত কার্যকলাপ করতে হবে। ইতিমধ্যে গ্রহণকারীর শরীরে যন্ত্রটি কাজ করা শুরু করেছে বলে খবর।

Advertisment