আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস সত্যি করে বাংলার নতুন বছরের প্রথম দিনেও আগুন ঝরাচ্ছে সূর্য। পয়লা বৈশাখের সকাল থেকেই সূর্যের গনগনে তেজে চাঁদিফাটা হওয়ার দশা। আলিপুর আবহাওয়া দফতর শুক্রবারই জানিয়েছিল রাজ্যের অধিকাংশ জেলায় তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি চলবে আগামী বুধবার পর্যন্ত। তবে এবার জানা যাচ্ছে, বুধবার নয় আগামী সপ্তাহের শেষ দিক পর্যন্ত রাজ্যের জেলায়-জেলায় তাপপ্রবাহের পরিস্থিতিতে নাজেহাল দশা হবে আট থেকে আশির।
Advertisment
গত সাত বছরে এমন উষ্ণ এপ্রিল মাস দেখেনি বাংলা। চৈত্রের শেষ বেলার তীব্র দহন মেজাজ এখনও জারি। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে নতুন করে তাপমাত্রা না বাড়লেও অসহনীয় পরিস্থিতি থেকে মুক্তির সম্ভাবনা এখনই নেই। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, এখনও আগামী বেশ কয়েকদিন ধরে অস্বস্তিকর এই গরম থাকবে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই। পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে ইতিমধ্যেই তাপামাত্রার পারদ চল্লিশ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে। আগামী কয়েকদিনে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শুধু দক্ষিণবঙ্গই নয়, উত্তরবঙ্গের পার্বত্য অঞ্চলের দুই জেলা বাদে বাকি জেলাতেও তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি নাকাল করে তুলবে বাসিন্দাদের। মালদহ ও দুই দিনাজপুরের কোনও কোনও জায়গায় লু বইতে পারে বলেও আশঙ্কা হাওয়া অফিসের। শহর কলকাতার পরিস্থিতিও মারাত্মক। শুকনো গরমে জেরবার মহানগরী। শুক্রবার কলকাতার তাপমাত্রা পৌঁছে গিয়েছিল চল্লিশ ডিগ্রির ঘরে।
আবহাওয়ার সাম্প্রতিক যা পরিস্থিতি তাতে আগামী কয়েকদিন বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। অস্বস্তিকর এই গরমের হাত থেকে ক্ষণিকের মুক্তি দিতে তাই এখন বরুণদেবই ভরসা! চাতক পাখির মতো প্রত্যেকেই এখন তাকিয়ে তাঁরই দিকে।