বঙ্গোপসাগরের গভীর নিম্নচাপ ইতিমধ্যেই ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এখনও পর্যন্ত আবহাওয়াবিদদের ধারণা অনুযায়ী শনিবার ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে। যদিও সেই ঘূর্ণিঝড়টি আছড়ে পড়ার আগেই তার প্রভাব শুরু। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির প্রবল আশঙ্কা জেলায়-জেলায়। বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়া হাওয়ার দাপটে লণ্ডভণ্ড পরিস্থিতি হওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে। এরাজ্যের কোন কোন জেলায় ঘূর্ণিঝড়ের তুফানি প্রভাব? জেনে নিন আবহাওয়ার একেবারে টাটকা আপডেট।
এবারেও বাংলাদেশ উপকূলেই ফের একটা ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ১৮ নভেম্বর অর্থাৎ আগামিকাল শনিবার সকালের দিকেই বাংলাদেশের মঙ্গলা এবং খেপুপাড়ার মাঝের কোনও একটি অংশে ঘূর্ণিঝড় মিধিলি আছড়ে পড়তে পারে। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবেই এরাজ্যেরও বেশ কয়েকটি জেলায় তুমুল বৃষ্টির জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের জেরে কোন কোন জেলায় বৃষ্টি?
শুক্রবার সকাল থেকেই কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলার আকাশ মেঘলা। আজ সকালের দিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ সংলগ্ন এলাকায় হালকা বৃষ্টি হয়েছে। তবে আগামিকাল অর্থাৎ ১৮ নভেম্বর এরাজ্যের উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে প্রবল বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। শুক্রবার থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়। এছাড়াও ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর ও হাওড়া জেলাতেও। ১৮ নভেম্বর দক্ষিণবঙ্গের অন্য জেলাগুলি অর্থাৎ কলকাতা, হুগলি, নদিয়া, পূর্ব বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ ও পশ্চিম মেদিনীপুরে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন- আমডাঙায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান খুন, মুখ্যমন্ত্রীকে বিঁধে সাংঘাতিক অভিযোগ দিলীপের
ঘূর্ণিঝড় মিধিলির গতিবিধির উপর কড়া নজর রেখেছে মৌসম ভবন। এখনও পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, মিধিলির ল্যান্ডফলের সময় তার সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকতে পারে ৭০ কিলোমিটারের আশেপাশে।