Sandeshkhali: সন্দেশখালি ইস্যুতে সরগরম রাজ্য। একদিকে, মঙ্গলবার সন্দেশখালিতে দুর্নীতি, জুলুমবাজির প্রতিবাদে বিজেপির (BJP) বসিরহাট এসপি অফিসে ঘেরাও অভিযান ঘিরে তুলকালাম পরিস্থিতি তৈরি হয়। অন্যদিকে, এদিনই সন্দেশখালি (Sandeshkhali) নিয়ে রাজ্য প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে দুরমুশ করে নজিরবিহীন পদক্ষেপ করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।
Advertisment
সন্দেশখালিকাণ্ডের প্রতিবাদে মঙ্গলবার বসিরহাটে (Basirhat) পুলিশ সুপারের দফতর ঘেরাও অভিযান করে বিজেপি। দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) নেতৃত্বে চলে অভিযান। বিজেপি কর্মীদের আটকাতে ব্যারিকেড করে পুলিশ। সেই ব্যারিকেড ভেঙে ফেলে এগোয় মিছিল। পুলিশের সঙ্গে তুমুল ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায় সুকান্ত মজুমদার, ইন্দ্রনীল খাঁ-সহ বিজেপি নেতা-কর্মীদের।
পুলিশের বিরুদ্ধে লাঠিচার্জের অভিযোগ আনে বিজেপিষ। আশেপাশের ছাদ ও রাস্তার ধার থেকে বিজেপি কর্মীদের লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। পুলিশের বিরুদ্ধে লাঠিচার্জেরও অভিযোগ এনেছে গেরুয়া দল।
অন্যদিকে, সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা (Section 144) বাতিল করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার উচ্চ আদালত স্পষ্ট করে জানিয়েছে, সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা জারি নিয়ে যে নির্দেশিকা রয়েছে তা যথার্থ নয়। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত এদিন ১৪৪ ধারা বাতিলের আদেশ দিতে গিয়ে জানিয়েছেন, "গোটা সন্দেশখালি জুড়ে ১৪৪ ধারা জারির যে নির্দেশিকা রয়েছে, তার নির্দিষ্ট কারণ স্পষ্ট নয়।"
আদালত এদিন আরও জানিয়েছে, "কী কী কীরণে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে, নির্দেশিকায় সেটাও স্পষ্ট করে উল্লেখ করা হয়নি। ১৪৪ ধারা বাতিল করতে হলে এলাকা নির্দিষ্ট করতে হবে। কোন কোন এলাকা উত্তেজনাপ্রবণ তা জানাতে হবে।" এদিন সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা বাতিল করার নির্দেশে এমনই জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।