Gangasagar Mela: গঙ্গা সাগর মেলা নিয়ে সিদ্ধান্ত ঝুলে রইল হাইকোর্টে। ওমিক্রন আবহে গঙ্গাসাগর মেলা হলে হু-হু করে বাড়বে সংক্রমণ। এই আশঙ্কায় সোমবার হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন আইনজীবী অভিনন্দন মণ্ডল। সেই মামলার শুনানিতে বুধবার রাজ্যের অবস্থান জানতে চাইল আদালত। এই মেলার ভবিষ্যৎ স্থির করার ভার ঘুরিয়ে নবান্নের হাতেই ছেড়েছে হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার দুপুরের মধ্যে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।
এদিন শুনানিতে আদালত বলেছে,’গঙ্গাসাগর নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে আশা করি বৃহত্তর স্বার্থের কথা ভাবা হবে। কারা যাবেন, কারা যাবেন না, সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় প্রত্যেকের কথাই মাথা রাখবে প্রশাসন।‘ যদিও রাজ্য সরকারের তরফে এদিন শুনানিতে যুক্তি দেওয়া হয়, ‘সংক্রমণের এই পর্বে গুরুতর অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা কমেছে। ওমিক্রন সংক্রামক হলেও গুরুতর অসুস্থতা নেই।‘
যদিও মামলাকারীদের তরফে পাল্টা প্রশ্ন, ‘ডেল্টা কি চলে গিয়েছে। রাজ্যজুড়ে স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসকরা সংক্রামিত হচ্ছেন। গঙ্গাসাগরে অনেকেই কলকাতা হয়ে যান। সেক্ষেত্রে ব্যাপক হারে বাড়তে পারে শহরের সংক্রমণ। গতবার ৮ লক্ষের মতো জমায়েত হয়েছিল গঙ্গাসাগরে। এবার সংখ্যা আরও কয়েক লক্ষ বাড়লে, পাল্লা দিয়ে বাড়বে সংক্রমিতের সংখ্যা। সেক্ষেত্রে চিকিৎসা পরিষেবা প্রভাবিত হওয়ার আশঙ্কা।‘
এদিকে, করোনা-গ্রাসে বাংলা। সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউয়ে তোলপাড় রাজ্য। এই পরিস্থিতিতে আসন্ন পুরভোট পিছনোর আবেদন এক সমাজকর্মীর। কলকাতা হাইকোর্টে এই আবেদন করেন সমাজকর্মী বিমল ভট্টাচার্য। এই আবেদনের প্রেক্ষিতে জনস্বার্থ মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছে আদালত। আগামিকাল হাইকোর্টে মামলাটির শুনানি হতে পারে।
করোনার তৃতীয় ধাক্কায় ত্রস্ত বাংলা। গতকালই রাজ্যের দৈনিক সংক্রমণ ৯ হাজারের গণ্ডি ছাড়িয়েছে। সোমবার পর্যন্ত রাজ্যে করোনা সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ছিল ২৫, ৪৭৫। আজ তা আরও বাড়ার আশঙ্কা প্রবল। গোটা রাজ্যের মধ্যে কলকাতাতেই সর্বাধিক সংক্রমণ ছড়িয়েছে। তিলোত্তমা মহানগরীতে গতকাল নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪৭৫৯ জন। কলকাতার পাশাপাশি উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলি-সহ জেলায়-জেলায় সংক্রমিতের সংখ্যা বাড়ছে।
এই পরিস্থিতিতে আসন্ন পুরভোট পিছনোর আবেদন কলকাতা হাইকোর্টে। আগামী ২২ জানুয়ারি বিধাননগর, আসানসোল, শিলিগুড়ি, চন্দননগরে ভোট। নির্বাচনের প্রচারে নিয়ন্ত্রণ করে চার পুরসভাতেই নির্ধারিত দিনে ভোট করাতে চায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। পিছিয়ে নেই রাজনৈতিক দলগুলিও।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন