আমফান ত্রাণ দুর্নীতি মামলায় ক্যাগকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। গত মঙ্গলবার দেওয়া সেই নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানায় রাজ্য সরকার। শুক্রবার তা পত্রপাঠ খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, প্রয়োজনে নির্দেশ পুনর্বিবেচনার জন্য সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে রাজ্য সরকার।
আমফানের ত্রাণে দুর্নীতির অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে একাধিক মামলা হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে ১লা ডিসেম্বর কলকাতা হাইকোর্ট কম্পট্রোলার অফ অডিটর জেনারেলকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। তিন মাসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট আদালতে জমা করবে ক্যাগ। সেই নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য।
কলকাতা হাইকোর্ট তার নির্দেশে জানিয়েছে, প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরা ত্রাণ পেয়েছেন কিনা? যদি না পেয়ে থাকেন তবে কেন পাননি? কোন পদ্ধতিতে আমফান বিপর্যস্ত এলাকায় ত্রাণ বন্টন করা হয়েছে তা খুঁটিয়ে দেখে তালিকা সহ আগামী তিন মাসের মধ্যে আদালতকে জানাতে হবে। দুর্নীতির সঙ্গে সরকারি কর্মী জড়িত থাকলে প্রসাসন তাঁর বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করেছে তাও আদালতকে জানাবে ক্যাগ। রাজ্য সরকারও হলফনামা নিয়ে আদালতে তাদের কথা জানাতে পারবে।
চলতি বছর ২০মে ঘূর্ণিঝড় আমফানে জেরে দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়। ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোনও বাড়ি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হলে ২০,০০০ টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বলা হয়। ক্ষতিগ্রস্তদের করা আবেদনের ভিত্তিতে সেই ক্ষতিপূরণ বণ্টন করা হয়েছিল। কিন্তু অভিযোগ, ত্রাণ বণ্টনে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। শাসক দলের নেতা এবং ঘনিষ্ঠরা বেআইনিভাবে সেই ত্রাণ পেয়েছেন। বিভিন্ন বিপর্যস্ত এলাকা থেকেও সেই খবর ছড়িয়ে পড়ে। অস্বস্তি বাড়ে মমতা সরকারের। অসন্তোষের আঁচ বুঝেই মুখ্যমন্ত্রী হস্তক্ষেপ করেন। দুর্নীতি করে যারা ত্রাণ নিয়েছিলেন তাদের টাকা ফেরতের নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণের আবেদনের জন্য ফের শিবির করা হয়।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন