বৃহস্পতিবারই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সব এফআইআর-এর উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল-সহ ৩ বিজেপির নেতাকে আইনি রক্ষাকবচ দিল উচ্চ আদালত। আপাতত ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত অগ্নিমিত্রা পাল-সহ ৩ বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করতে পারবে না পুলিশ।
ডায়মন্ড হারবারে গত ৩ ডিসেম্বর শুভেন্দু অধিকারীর সভার আগের রাতে ও সভার দিন সকালে ব্যাপক গন্ডগোল হয়েছিল। শুভেন্দুর সভাকে কেন্দ্র তরি হওয়া গন্ডগোলের জেরে বিজেপি নেত্রী অগ্নিমাত্রা পাল-সহ মোট ৩ জনের বিরুদ্ধে একাধিক এফআইআর দায়ের করে পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত ৩ ডিসেম্বর তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংসদীয় এলাকা ডায়মন্ড হারবারে প্রকাশ্য সভা করেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতার সেই সভার আগের রাতে হুলস্থূল কাণ্ড ঘটে যায় হুগলি নদীর পাড়ের ওই এলাকায়। শুভেন্দুর সভাস্থলে চূড়ান্ত গন্ডগোল হয়। মঞ্চ বেঁধেও প্রথমে খুলে নিয়ে যান দায়িত্বপ্রাপ্ত ডেকেরটরসের কর্মীরা।
পরে সভাস্থলে ভাঙচুরের অভিযোগও ওঠে। সভার দিন সকালেও ডায়মন্ড হারবারের দিকে-দিকে পথ অবরোধ করেছিলেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। বিজেপির অভিযোগ, শুভেন্দু অধিকারীর সভায় দলের কর্মী-সমর্থকদের যোগ দেওয়া ঠেকাতেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে পথ অবরোধ করে রাজ্যের শাসকদল।
আরও পড়ুন- ডিসেম্বর ‘ঝটকা’ কবে? সাসপেন্স জিইয়ে রেখে ‘তারিখ পে তারিখ’ শুভেন্দুর, খোঁচা কুণালের
সেদিন ডায়মন্ড হারবারের বেশ কিছু জায়গায় অবরোধকারী তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে বচসায় জড়াতে দেখা গিয়েছে বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল, এলাকার প্রাক্তন বিধায়ক তথা বিজেপি নেতা দীপক হালদার, বিজেপি নেতা প্রদ্যোৎ বৈদ্যদের। এরপর অগ্নিমিত্রা-সহ ৩ বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে পুলিশ।
শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে সেই মামলারই শুনানি ছিল। সেই মামলার শুনানিতে আপাতত স্বস্তিতে অগ্নিমিত্রা পাল, দীপক হালদাররা। এফআইআর-এর ভিত্তিতে আপাতত তাঁদের গ্রেফতার করার মতো কঠিন পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ। আগামী ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত তাঁদের রক্ষাকবচ দিয়েছেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা।
আরও পড়ুন- বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাতিল সমাবর্তন, পূর্বপল্লীর মাঠে বন্ধ পৌষ মেলা, কারণ জানালেন উপাচার্য
এর আগে বৃহস্পতিবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও বড়সড় স্বস্তি দিয়েছিল উচ্চ আদালত। শুভেন্দুর বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত দায়ের হওয়া সব এফআইআর-এর উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইেকার্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা।