নিয়োগ দুর্নীতিতে কলকাতা হাইকোর্টে হাজিরা দিলেন রাজ্যের শিক্ষাসচিব মণীশ জৈন। আজ সকাল সাড়ে ১০টার আগেই রাজ্যের শিক্ষা সচিব মণীশ জৈন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে হাজিরা দিযেছেন। তবে সিঙ্গল বেঞ্চের হাজিরা নির্দেশের বিরুদ্ধে গতকাল রাতেই ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেছিল রাজ্য সরকার।
রাজ্যে সরকারি চাকরিতে নিয়োগ দুর্নীতির শিকড়ে পৌঁছনোর চেষ্টা। স্কুলে নিয়োগের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত শূন্যপদে অযোগ্যদের পুনর্বাহলের আবেদন করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। এব্যাপারে আদালতের অনুমতি চাইতে গেল মুখ পোড়ে এসএসসি-র। আদালত সেই আবেদনে সাড়া তো দেয়নি, উল্টে রাজ্য সরকারের হলফনামা তলব করে বসে। তবে রাজ্য আদালতে জানায়, এই সুপারিশ তাঁদের নয়।
আরও পড়ুন- Exclusive: সংবিধান হাতেই ‘মহিরুহ’ পতনের স্বপ্নে বিভোর ভাইজান আব্বাসের ‘একা কুম্ভ’ নওশাদ
এখানেই বিস্তর প্রশ্ন উঠেছে। রাজ্য যদি এই সুপারিশ না করে তবে এসএসসি কোন এক্তিয়ারে কোর্টের নির্দেশে চাকরি বাতিল হওয়া অযোগ্যদের শূন্যপদে পুনর্বহালের আবেদন করছে? এসএসসি-কে অযোগ্যদের পুনর্বহালের নির্দশ কে দিয়েছিল? এসবের পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করতে সিবিআই-কে ৭ দিন সময় বেঁধে দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। হাইকোর্টের নির্দেশে পেয়ে নিয়োগ দুর্নীতির শিকড়ে পৌঁছতে তৎপরতা তুঙ্গে তুলেছেন কেন্দ্রীয় সংস্থার গোয়েন্দারাও।
আরও পড়ুন- বাঙালি মেনুতে ‘মহাগুরু’ মিঠুনের মহাভোজ, কর্মীসভার শেষে চেটেপুটে কী খেলেন?
তবে দুর্নীতির শিকড় উপড়ে ফেলতে চায় আদালত। স্কুল সার্ভিস কমিশনকে অযোগ্যদের পুনর্বাহল সুপারিশ কার ছিল? তা জানতে এবার রাজ্যের শিক্ষাসচিব মণীশ জৈনকে আজ সকাল সাড়ে ১০টায় আদালতে সশরীরে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তবে রাজ্যও জোরদার তৎপরতা নেয় গতরাতেই। গতকাল রাতেই শিক্ষা সচিবের হাজিরা আটকাতে জোরদার তৎপরতা নেয় সরকার। কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করে রাজ্য সরকার। তবে এদিন কিন্তু নির্ধারিত সমযেই আদালতে হাজিরা দিয়েছেন শিক্ষাসচিব মণীশ জৈন।