দলবদলের জল্পনা বাড়িয়ে তাঁর যে ছবি প্রকাশ্যে এসেছে, তা পুরোপুরি 'ভুয়ো'। দাবি খড়্গপুরের বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের। তাঁর দাবি, প্রযুক্তির ব্যবহার করে ভুল ছবি ছড়ানো হয়েছে। এরপর আরও অনেক কিছুই প্রকাশ্যে আনা হতে পারে বলে আশঙ্কা হিরণের। বিজেপি বিধায়কের নিশানায় রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। এই প্রেক্ষাপটে, কী করণীয় হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের। নিজের সংসদীয় এলাকায় দাঁড়িয়ে বিজেপি বিধায়ককে সেই পরামর্শই দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
কী পরামর্শ অভিষেকের?
দিন কয়েক আগেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যামাক স্ট্রিটের দফতরে হিরণ চট্টোপাধ্যায় গিয়েছিলেন বলে শোরগোল পড়ে যায়। ভাইরাল হয় পশ্চিম মেদিনীপুরের তৃণমূল কোঅর্ডিনেটর অজিত মাইতির পাশে বিজেপি বিধায়কের ছবি। যা 'ভুয়ো' বলে দাবি করছেন হিরণ। নস্যাৎ করেছেন তাঁর দলবদলের জল্পনা। যা নিয়েই এদিন অভিষেক বলেন, 'আমি যদি হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের জায়গায় থাকতাম, আমার যদি ফেক ছবি রিলিজ করত, আমি দুটো জিনিস করতাম। একটা, মানহানির মামলা। দুই ক্রিমিনাল কেস। আমি হিরণকে অনুরোধ করব, একটা ক্রিমিনাল কেস করা হোক যে আমার ছবিটা ফটোশপ করে বা বিকৃতভাবে করা হয়েছে। এটা আসল ছবি নয়। বিজেপির অনেক এজেন্সি রয়েছে। দেখা হোক আসল কোনটা।'
এরপরই হুঁশিয়ারির সুর শোনা যায় ডায়মন্ড হারবারের সাংসদের মুখে। বলেন 'আমি অনেক কিছু রিলিজ করতে পারি। সেটা অনৈতিক হবে। আমরা এগুলো করি না। আমাদের আর বিজেপির মধ্যে এটাই পার্থক্য। আমি এক মিনিটেই দাবি নস্যাৎ করতে পারি। কিন্তু সেসব করব না। আমি শুধু বলব আমি হিরণের জায়গায় থাকলে প্রথমত হাইকোর্টে মানহানির মামলা করতাম ও দ্বিতীয়ত পুলিশের কাছে গিয়ে ক্রিমিনাল কেস শুরু করতাম যারা এই ছবি করেছে বা যেসব চ্যানেল এসব দেখিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।'
তৃণমূলে থাকাকালীন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে হিরণের সম্পর্ক ভালো ছিল। সেকথা এদিন স্বীকারও করেছেন বিজেপি বিধায়ক। তবে সম্প্রতি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের ক্যামাক স্ট্রিটের দফতরে তিনি যাননি বলেও দাবি করেছেন। বলেছেন, 'আমার সঙ্গে ২০১৪ থেকে ২০২১ পর্যন্ত ওনার (অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়) যোগাযোগ ছিল। আমরা একসঙ্গে বাংলা ঘুরেছি, খেয়েছি, নানা কাজ করেছি। কিন্তু ২০২১ সালের পর থেকে আর যগাযোগ নেই।'