আমফানের পরে দলে দলে পরিযায়ী শ্রমিক দেশের বিভিন্নপ্রান্ত থেকে বাংলায় ফিরছেন। ফলে প্রত্যেকের উপর নজরদারি কার্যত অসম্ভব বলে মনে করছে রাজ্য সরকার। তাই শ্রমিক স্পেশালে বাংলায় ফেরৎ পরিযায়ী শ্রমিকদের শারীরিক পরীক্ষা ও নজরদারি-বিধি বদল করল নবান্ন। আমফানের আগে, ভিন রাজ্য থেকে বাংলায় আগত পরিযায়ী ও অন্যান্যদের প্রত্যেককে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হচ্ছিল। সেখানেই তাদের খাবার দিচ্ছিল মমতা প্রসাসন। কিন্তু, বুধবার সেই বিধির বদল করা হয়েছে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের সংশোধিত বিধি অনুসারে, রাজ্যে ফেরৎ আসাদের এখন থেকে অন্য ধারায় শারীরিক পরীক্ষা হবে। এক্ষেত্রে হোম কোয়ারেন্টিনকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
মহারাষ্ট্র, দিল্লি, মধ্যপ্রদেশ তামিলনাড়ু ও গুজরাটে করোনা সংক্রমণের হার অতিরিক্ত। এই পাঁচ রাজ্য থেকে বাংলায় ফেরা মানুষদের উপর তাই নজরদারি জোরদার করার ঘোষণা করে নবান্ন। জানায়, এই পাঁচ রাজ্য থেকে বাংলায় আগতদের ১৪ দিন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতেই হবে।
রাজ্যের নির্দেশিকায় বলা হয, 'গন্তব্য জেলায় প্রত্যেকের মেডিক্যাল স্ক্রিনিং করা হবে। জেলা প্রশাসন উপযুক্ত আয়োজন করবে। বাড়ির ঠিকানা, ফোন নম্বর সহ আগতদের ত্য় নথিভূক্ত করবে জেলা প্রশাসন। মহারাষ্ট্র, দিল্লি, মধ্যপ্রদেশ তামিলনাড়ু ও গুজরাট- এই পাঁচ রাজ্য থেকে আগতদের বিশেষ মেডিক্যাল স্ক্রিনিং করা হবে।' মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'এদের ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা বাধ্যতামূলক।'
এছাড়াও বলা হয়, এই পাঁচ রাজ্য বাদে স্ক্রিংয়ে যাদের শরীরে উপসর্গ করোনার মিলবে তাদের ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতেই হবে। মহারাষ্ট্র, দিল্লি, মধ্যপ্রদেশ তামিলনাড়ু ও গুজরাট- এই পাঁচ রাজ্য থেকে আগতদের বাধ্যতামূলকভাবে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হবে। তবে, সেই কোয়ারেন্টিন সেন্টার হবে বাড়ির কাছে। পরিবারের সদস্যরা এদের সংস্পর্শে না এসে খাবার দিতে পারবেন।
গতকালই ২০ শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন প্রায় ২৫ হাজার মানুষ ভিন রাজ্য থেকে বাংলায় ফিরেছে। তাদের স্ক্রনিংয়ের যাবতীয় ব্যবস্থা করেছে রাজ্য সরকার। এক শীর্ষ রাজ্য সরকারি আমলার কথায়, 'বিপুল সংখ্যায় মানুষ এ রাজ্য়ে ফিরছেন। তাই হোম কোয়ারেন্টিনেই গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু, প্রত্যেকদিনই রাজ্যে আগতদের সারীরিক পরিস্থিতি যাচাই করা হবে। দেখা হবে কারোর কোভিড-১৯ উপসর্গ রয়েছে কিনা।'
Read the full story in English