Success Story: বয়স মাত্র দশ। অভাবী ঘরের মেধাবী ছাত্র। পঞ্চম শ্রেণীর এই খুদে ইতিমধ্যেই নাসার সিটিজেন সায়েন্টিস্টের (citizen scientist nasa) সম্মান অর্জন করেছে। আরামবাগের ১০ বছরের ছোট্ট ছেলে সঞ্চয়ন সরকার। মামার বাড়িতেই মানুষ হচ্ছে সে। দাদু হারুলাল সাহা পেশায় সবজি বিক্রেতা। মা সঞ্চিতা সরকার সামান্য গৃহবধূ। আরামবাগের (Arambag) ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সুকান্ত পল্লিতে টিনের চালার ছোট্ট খুপড়িতে থেকে ছেলেকে তিলে তিলে গড়ছেন সঞ্চিতা। আগামী অক্টোবর মাসে বৃহস্পতি উপগ্রহ 'ইউরোপা'-য় যে মহাকাশযান যাবে তার মাইক্রো চিপে অন্যান্য বিজ্ঞানীদের সঙ্গে সঞ্চয়নের নামও লেখা থাকবে।
শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যেই নাসার (Nasa) ওয়েবপেজে (Web page) বিখ্যাত সব বিজ্ঞানীদের সঙ্গে তার নামও প্রকাশিত হচ্ছে। অনলাইনে নাসার বিভিন্ন ওয়েবসাইটে প্রজেক্ট তৈরির মাধ্যমে ছোট্ট সঞ্চয়ন এই কৃতিত্ব লাভ করেছে। আরামবাগের একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল সারদা বিদ্যাপীঠের ছাত্র সঞ্চয়নের ধ্যান-জ্ঞান সবই মহাকাশ ঘিরেই। প্রিয় বিষয় অ্যাস্ট্রোফিজিক্স। আগামী দিনে ওই বিষয় নিয়েই সে গবেষণা করবে বলে ঠিক করেছে। ছোটবেলায় যখন কান্নাকাটি করতো তখন দাদু কোলে চড়িয়ে সন্ধ্যাবেলায় আকাশের তারা দেখাতে নিয়ে যেতেন।
সঞ্চয়ন সরকার।
সঞ্চয়নের কান্না থেমে যেত, অবাক হয়ে সে আকাশের দিকে তাকিয়ে তারামণ্ডল দেখতো। কান্না থেমে যেত। যে বয়সে যেটা ভাবাই যায় না সঞ্চয়ন সেই বয়সেই মহাকাশের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে চর্চা করতে শুরু করে দেয়। মাত্র ৮ বছর বয়স থেকেই সে নাসার ওয়েবপেজ নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি শুরু করে। সঞ্চয়নের মা সঞ্চিতা খুবই আশাবাদী ছেলেকে নিয়ে।
আরও পড়ুন- Kolkata Weather Today: ঠান্ডার তীব্র দাপট দেখবে বাংলা! হাড় কাঁপাবে মাঘের শীত, আবহাওয়ায় বদল কবে?
শুধু সঞ্চয়নের দাদু-মাই নন, ছোট্ট ছেলের এমন কীর্তিতে খুশি তাদের প্রতিবেশীরাও। আগামী দিনে সঞ্চয়ন নিজের অসামান্য কীর্তিতে জেলা তথা বাংলার মুখ উজ্বল করবে বলে আশাবাদী তাঁরাও। এদিকে, সঞ্চয়নের কথায়, "ছোটবেলা থেকেই মহাকাশের প্রতি আকর্ষণ ছিল। তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ার সময়েই নাসা নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি শুরু করি। একটা পরীক্ষা দিয়ে নাসার প্রোজেক্টে কাজের সুযোগ পেয়ে যাই। সেখান থেকেই শুরু। নাসার (NASA) বেশ কয়েকটি প্রোজেক্টে কাজ করেছি। নাসার সিটিজেন সায়েন্টিস্টদের টেলিগ্রাম-হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপেও আমাকে অ্যাড করা হয়েছে। ফেব্রুয়ারিতেও আরও একটা ক্যাম্পেন রয়েছে।"